জমজ দুই ভাইয়ের মাধ্যমিকে নাম্বারও একই

 

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    যমজ দুই ভাই দেখতে একই, মাধ্যমিকেও নাম্বারও একই। এবারের মাধ্যমিকে এরকমই এক কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নাম্বার ব্লকের কাষ্টগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়েরই দুই ছাত্র মহম্মদ মোক্তার নাবিল ও মহম্মদ মোক্তার জাহীন। তারা যমজ ভাই। জমজ দুই ভাই এবারে একসাথে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। এই দুই ভাই এর চেহারায় অদ্ভুত মিল রয়েছে। দেখতে প্রায় একই। এই দুই ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র এক মিনিটের। জমজ ভাই একই ক্লাসে পড়াশোনা করছে, চেহারায়ও মিল, এরকম তো মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু রেজাল্টের পরও একই নাম্বার! এমন কাকতালীয় ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। এরকমই ঘটনা ঘটেছে জাহিন ও নাবিলের ক্ষেত্রে। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দুজনের হাতেই যখন মার্কশিট আসে তখনই এই কাকতালীয় ঘটনা দেখা যায়। জমজ দুই ভাই পরীক্ষায় পেয়েছে একই নাম্বার। দুইজনেরই মোট প্রাপ্ত নাম্বার ৬৭৭ । শুধু তাই নয় বাংলা, ইংরেজি, জীবন বিজ্ঞান ও ভৌতবিজ্ঞানেও দুইজনেই আশ্চর্যজনকভাবে পেয়েছে একই নাম্বার। যা দেখে হতবাক সকলেই। দুই ভাইয়ের চেহারায় মিল। একসাথেই দিয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। আবার রেজাল্টও একই। এমন ঘটনা সাধারণত শোনা যায় না।
    দুজনেই বাংলায় পেয়েছে ৯৮, ইংরেজিতে পেয়েছে ৯২, জীবন বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞানে দুজনেই ৯৭ করে নাম্বার পেয়েছে।
    নাবিল ও জাহিনের বাবা মোজেশ্বর হোসেন জানিয়েছেন আল্লাহ আমাদের জমজ সন্তান দিয়েছেন। জন্মের মতোই ওরা নাম্বারও যমজ পেল।
    মা নাবিনা হোসেন জানিয়েছেন ওরা একসাথে পড়াশোনা করত। টিউশনি যেত একসাথেই। নাম্বারও পেল একই।
    জমজ ভাইদের এই সাফল্যে কাস্টগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশিক চৌধুরী সহ খুশি সকল শিক্ষিকারা।
    দেখতে একই, নাম্বার পাওয়া একই এই জমজ দুই ভাই কিন্তু পড়াশোনা একই লাইনে করতে চায় না। জাহিন ডাক্তার হতে চায় এবং নাবিল ভবিষ্যতে হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার।