রাজ্যে ১১ তম স্থানে মামূন ন্যাশনাল স্কুল, প্রথম কুড়ির মধ্যে বিদ্যালয়ের চারজন

নিজস্  সংবাদদাতা : এবারের মাধ্যমিকেও অসাধারণ সাফল্য পেল মামূন ন্যাশনাল স্কুল| প্রতিষ্ঠাতা গোলাম আহমাদ মোর্তজা (রহ.) সাহেব| তাঁর হাত ধরেই যে সাফল্য এই বিদ্যালয় দেখিয়ে এসেছে, সেই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় রাখলো| রাজ্যে মোট ৯ লক্ষ ২৩ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে একাদশ স্থান দখল করেছে এই স্কুলের ছাত্রী জেনিফা শবনম| সে পেয়েছে ৬৮৩ (৯৭.৬%, রাজ্যে স্থান ১১তম)| পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসীর বড়মুড়ে গ্রামে এই কৃতি ছাত্রীর বাড়ি|

    রাজ্যে প্রথম কুড়িজন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে এই স্কুলের আরও যে তিনজন স্থান করে নিয়েছে, তারা হল- মুর্শিদাবাদ জঙ্গিপুরের মাহিবুর রহমান (৬৭৫), বীরভূম দুবরাজপুরের নাজরিন সুলতানা (৬৭৫), এবং মুর্শিদাবাদ নওদা থানার মুস্তাক আহমেদ মন্ডল(৬৭৪)।সামগ্রিকভাবে মামূন ন্যাশনাল স্কুলের ফলাফল অত্যন্ত চমকপ্রদ| বিদ্যালয়ের মোট পরীক্ষার্থী ৮৭ জন। তার মধ্যে ৯০% বা তার বেশি নাম্বার পেয়েছে ৪১ জন, ৬০০-র বেশি বা প্রায় ৮৬ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে ৬৩ জন এবং স্টার মার্কস ৭৫% বা তার বেশি মার্কস পেয়েছে ৮৩ জন| সমস্ত ছাত্রছাত্রী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে|

    কৃতি ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মাননীয় মোস্তাক হোসেন| তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এই পরীক্ষা তাদের জীবনের প্রথম সিঁড়ি| তাদেরকে সঠিক পথের দিশা দিতে হবে| শুধু মার্কস দিয়ে নয়, মানবিকতা দিয়ে তাদেরকে এবং সংখ্যালঘু সমাজকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিরন্তন যে প্রচেষ্টা তা অব্যাহত রাখতে হবে| এ দায়িত্ব শিক্ষক ও স্কুল পরিচালকবৃন্দের| জি.ডি. স্টাডি সার্কল প্রায় ৫০টি আবাসিক স্কুলের তত্ত্বাবধান করেন| জনাব মোস্তাক হোসেন সাহেব শিক্ষা প্রসারে প্রচুর অর্থ অকাতরে দান করে আসছেন। আর এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে জি.ডি. মনিটরিং কমিটি| যার প্রধান হলেন মাননীয় সেখ নুরুল হক সাহেব| তিনি এই সাফল্যে বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও এগিয়ে যাবার জন্য উৎসাহ প্রদান করেন। বিদ্যালয়ের সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইয়াসীন বলেন, “আমি ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যে খুবই আপ্লুত| শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই ধরনের সাফল্য আমাদেরকে উদ্বেলিত করে| বিদ্যালয়ের সেই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ”|
    এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ-এর সকলের সাহায্য ও সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন। এই আনন্দের সময়গুলোতে তাঁর মরহুম পিতার কথা খুব মনে পড়ে- এ কথা বলে তিনি তাঁর রুহের মাগফিরাতের জন্য সকলের প্রতি দোয়ার আবেদন জানান|