|
---|
বাইজিদ মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার : রাজ্যের অন্ন্যান্য জায়গার পাশাপাশি দক্ষিণ বঙ্গে কদিন ধরে গড়ে ৩৯ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির বর্তমান প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে কৃষি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়ে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকটও দেখা দিতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে জনস্বাস্থ্যও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শিশু ও বয়স্ক মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশিজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। হাসপাতাল গুলোতে দাবদাহ জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে সরকার দাবদাহের কারণে স্কুল ও কলেজ ছুটির ঘোষণা করেছে। তাছাড়া প্রচণ্ড দাবদাহে প্রতিদিন মানুষ হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। এ অসহনীয় তাপমাত্রা মোকাবিলায় মানুষ অনবরত এসি ও বৈদ্যুতিক ফ্যান ব্যবহার করছে। গ্রামে বসবাসরত অধিকাংশ মানুষের পক্ষে এসি ব্যবহার সম্ভব না হওয়ায় তাদের অনেকটা প্রাকৃতিক বাতাসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। যদিও বর্তমানে প্রবহমান প্রাকৃতিক বাতাসও অনেকটা গরম। এ তাপমাত্রা কমানোর জন্য মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ এ নজর দেওয়া উচিত। এই লক্ষ্য কে সামনে রেখে এদিন ডায়মন্ড হারবার থানার আই সি শুভাশিস ঘোষ এর উদ্যোগে থানার আরো অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে করে কোদাল হাতে নিয়ে থানার চত্বর সহ আরও অন্যান্য জায়গায় আই সি নিজ হাতে বৃক্ষ রোপণ করেন। দাবদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, খেলার মাঠ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রত্যেক মানুষের কাজের পাশাপাশি চিত্তবিনোদনেরও প্রয়োজন রয়েছে। নতুবা কাজের গতি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সপ্তাহ শেষে অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে পছন্দ করে। আবার কেউ কেউ খেলাধুলা করেও আনন্দ উপভোগ করে থাকে। কেউ কেউ মনে করেন বৃক্ষরোপণ হ্রাস পাওয়ার ফলে প্রকৃতির পরিবর্তনে সৃষ্ট তাপমাত্রার বৃদ্ধিজনিত কারণে কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। এভাবে পরিবর্তনের প্রভাব অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে করোনার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন জেনেটিক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যমান দাবদাহ ভবিষ্যতে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদি দাবদাহ আরো বাড়তে থাকে, তাহলে জনজীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। এ পরিস্থিতিতে দাবদাহ কমাতে বেশি বেশি গাছ রোপণ করতে আহ্বান জানায় আই সি শুভাশিস ঘোষ। এমন উদ্যোগ কে প্রসংশা করেন এলাকার মানুষ।