ছত্তীসগঢ়: ধর্মীয় মিছিল চলাকালীন বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিল প্রায় ১৭ জনকে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: লখিমপুর খেরির পর এবার ছত্তীসগঢ়। ছত্তীসগঢ়ের যশপুরে ধর্মীয় মিছিল চলাকালীন বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিল প্রায় ১৭ জনকে। দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু, জখম ১৬। শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের পাথালগাঁওয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    ব্লক মেডিক্যাল অফিসার জেমস মিঞ্জ বলেছেন, হাসপাতালে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। এছাড়া ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এক্স-রে রিপোর্ট আসার পর দুই জনকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যশপুরের এসপি জানিয়েছেন, ধৃত বাবলু বিশ্বকর্মা ও শিশুপাল সাহু- উভয়েই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। তারা ছত্তীসগঢ় দিয়ে যাচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত চলছে।

    ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি বলেছেন, অপরাধীদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কাউকে ছাড়া হবে না।

    এর আগে গত ৩ অক্টোবর চার কৃষক, বিজেপি কর্মী ও এক সাংবাদিক সহ আটজন উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কৃষকদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার পর এই ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রের নাম। যদিও ঘটনার পর তাঁকে পাওয়া না যেতে জারি হয়েছিল নোটিস। সুপ্রিম কোর্টের কড়া ভর্ত্‍‍সনার পর লখিমপুরকাণ্ডের ৬ দিন পর, অবশেষে গ্রেফতার হন আশিস মিশ্র। ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

    এই ঘটনায় সুর চড়ান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তিনি বলেছিলেন, “জনগণের ফোরাম থেকে মন্ত্রীকে রক্ষা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী লখনৌ এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের পারফরম্যান্স এবং আজাদি কি অমৃত মহোৎসব দেখতে। কিন্তু, উনি লখিমপুর খেরির নিহতদের পরিবারের কষ্ট ভাগ করে নিতেন এলেন না। প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী কৃষকদের আন্দোলনজীবী ও জঙ্গি বলেছেন। যোগীজি তাঁদের গুণ্ডা বলেছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। একই মন্ত্রী(অজয় মিশ্র) বলেছেন, তিনি প্রতিবাদকারী কৃষকদের দুই মিনিটের মধ্যে এক লাইনে ফেলে দেবেন।” রাজ্য ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, এই দেশে দুই ধরনের মানুষ নিরাপদ, ক্ষমতায় থাকা বিজেপি নেতা ও তাঁদের ধনকুবের বন্ধুরা।