|
---|
নূর আহমেদ, মেমারি ২৩ মার্চ : পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা মতো মেমারি ১ব্লকে শনিবার বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূল প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকারের নির্বাচনী প্রচারের সূচনা ছিল মেমেরির গোপগন্তার ১ অঞ্চলের গন্তার চন্ডিতলা মন্দিরে পুজো দেওয়ার মাধ্যমে। এদিনের নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচীর দায়িত্বে ছিলেন মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য। শনিবার সকালে প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার গন্তার চন্ডীতলায় পৌঁছালে সেখানে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা, বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। জানা যায় মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য ও মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ ব্যানার্জীর অনুগামীদের মধ্যে এই বচসা বাধে। সূত্র মারফৎ জানা যায় ডাঃ শর্মিলা সরকার তৃণমূলের দু পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে এই বচসার কারণে মন্দিরের ভিতর পুজো দিয়ে. মন্দিরের ভিতরই বসে ছিলেন। মন্দির প্রাঙ্গণে অজস্র তৃণমূল কর্মী যারা বিধায়ক ও ব্লকসভাপতি অনুগামী বলে পরিচিত তাদের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ালে বিধায়ক মাইক হাতে নিয়ে সকলকে শান্ত থাকতে বলেন। সেই সময় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতিও বিধায়কের সাথে দফায় দফায় কথা বলতে ও মনোমালিন্য দেখা যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রাসবিহারী হালদার। তিনি মন্দিরের ভিতরে গিয়ে প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকারের সাথে কথা বলে বাইরে এসে দুপক্ষের সাথে কথা বলেন। এবং তিনি বলেন কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, তৃণমূল কর্মীদের উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ।
কিন্তু প্রার্থীর প্রবেশের মুহুর্তে এই উচ্ছ্বাস কী মাত্রা ছাড়িয়ে যায়নি, জনগণ জানতে চাইছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন মন্দিরের মতো পবিত্র প্রাঙ্গণে তৃণমূলের এই অন্তর্কলহের ফলে হাতাহাতি মোটেই শোভনীয় নয় বলছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে থমকে গেল তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারাভিযান। এ বিষয়ে পরিচিত
একজন তৃণমূল কর্মী দোষারোপ করছেন অপর তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে আর গোষ্ঠীদদ্বন্দ্ব বললেই উচ্চস্তরীয় নেতার দোষ দিচ্ছেন মিডিয়াকে। কিন্ত আজ নেতার মুখে শোনা গেল ভিন্ন সুর বললেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী-
অবশেষে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। প্রার্থীও মন্দির থেকে বেড়িয়ে এসে যোগ দিলেন সেই বৈঠকে। বৈঠকে যাবার সময় কর্মীদের বললেন-রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, ব্লক সভাপতি নিত্যান্দ ব্যানার্জী, প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার, জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, প্রাক্তণ কর্মাধ্যক্ষ মহঃ ইসমাইল, মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন ঘোষাল। আড়াই ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সকলে কর্মীদের সামনে এসে হাতে হাত ধরে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর হাত শক্ত করতে বলেন।
সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে প্রার্থী ডাঃ শর্মিলা সরকার ও বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বাকী প্রচার কর্মসূচী সম্পন্ন করার জন্য।