|
---|
সেখ মহম্মদ ইমরান, নতুন গতি:কোভিড নাইন্টিনের সংক্রমণের কারণে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের আবহে এবার অনেকাংশেই বর্ণহীন হয়ে গেছে এবারের রবীন্দ্র জয়ন্তী। মানুষ যেমন ঘরবন্দী রয়েছেন তেমনি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনও খুব বেশি মানুষ সমবেত করে প্রেক্ষাগৃহ বা অন্য কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারছেন না।প্রতি বছর মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির উদ্যোগে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন সকাল সন্ধ্যা য় নানা ধরনের অনুষ্ঠান হতো। এবারে ভাঁটা পড়লো সেই অনুষ্ঠানে। রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির উদ্যোগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মর্মর মুর্তিতে মাল্যদান , সমবেত সঙ্গীত ও সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখে অল্প কিছু সাংস্কৃতিক কর্রসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হলো রবীন্দ্র জয়ন্তী। ঐতিহাসিক রবীন্দ্র নিলয় প্রেক্ষাগৃহ প্রাঙ্গণে অবস্থিত কবিগুরুর মর্মর মুর্তিতে মাল্যদান করেন রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জগবন্ধু অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র ওঝা, সঙ্গীত শিক্ষায়তন বিভাগের সম্পাদক হায়দার আলী,নাট্য বিভাগের সভাপতি অঞ্জন সিকদার,অমিয় পাল,সুতৃপ্তা মন্ডল,অমিত কুমার দাস, সুদীপ মাইতি,পরেশ দাস,বিশ্বদেব সিংহ সহ মেদিনীপুরের আরও অন্যান্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মাল্যদান করেন কনফেডারেশন অফ্ পূর্ব অ্যান্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্সের (ডিসিসিআই) সভাপতি আনন্দগোপাল মাইতি। পাশাপাশি রবীন্দ্র নিলয় প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচিতেই বর্তমান সময়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রেখে শহরের অন্যতম প্রাচীন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান “স্বরলিপি” ও ‘রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতি’র যৌথ উদ্যোগে ১০০ টি অসহায় পরিবারের হাতে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে মাস্ক,চাল,ডাল , আলু, পেঁয়াজ, বিভিন্ন ধরনের মশলা, সোয়াবিন, ভোজ্যতেল তুলে দেওয়া হয়। সমগ্র কর্মসূচিগু সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রেখে হয়। পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র ওঝা জানান, শহরের স্বনামধন্য শিল্পীরা গৃহবন্দী অবস্থায় রবীন্দ্র সংগীত, রবীন্দ্র নৃত্য, রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি করে মোবাইলে রেকর্ডিং করে সম্পাদকের কাছে পাঠিয়েছেন, রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে সেগুলি ফেসবুকে যেমন আপলোড করা হয়েছে তেমনি লোকাল কেবল চ্যানেলে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবীন্দ্র স্মৃতি সমিতির এই উদ্যোগকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি মেদিনীপুর শহরে ও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়গুলির উদ্যোগে কোথাও কোথাও শুধু মাল্যদান, আবার কোথাও সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজে রবীন্দ্রনাথের কবিতা,গান, নৃত্য আপলোড করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে বাড়িতে যেমন কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেছেন তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের রবীন্দ্র বিষয়ক উপস্থাপনা পোস্ট করে বিশ্ব কবিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।