ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতাল এলাকা

পারিজাত মোল্লা : ডেঙ্গু জ্বরে প্রাণহানি ঘটছে বাংলা জুড়ে। রাজ্য সরকারের তরফে স্কুল গুলিতে পড়ুয়াদের ফুলহাতা জামাপ্যান্ট পড়ে আসার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে রোদের দেখা নেই মহানগর জুড়ে।ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত চলছে।সেখানে ক্রমাগত জমা জল জমছে এক কেন্দ্রীয় হাসপাতালের ভবনের মধ্যে। আগাছার জঙ্গলে পরিতক্ত ট্যাংকের খোলা জায়গায় ডেঙ্গু মশার আদর্শ প্রজননক্ষেত্র হয়ে উঠছে এই এলাকা।এই এলাকায় দুটি পৃথক স্কুলে চারটি বিভাগে কমপক্ষে তিন হাজার পড়ুয়ার শিক্ষাস্থল রয়েছে। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের অভিভাবকদের আনাগোনা তো আছেই।শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের সামনে রয়েছে টাকি গভর্মেন্ট বয়েজ এবং গার্লস স্কুল।প্রাথমিক এবং দিবা বিভাগে দুটি স্কুলের সর্বমোট তিন হাজার মত পড়ুয়া এখানে।টাকি গার্লস স্কুলের পাশেই রয়েছে ইএসআই হাসপাতালের ঔষধপত্র বিতরণ কেন্দ্র।আর ঠিক তার পাশের ভবনের মাঝখানে রয়েছে যেন ‘মিনি আমাজন জঙ্গল’। আগাছাময় এই এলাকায় রয়েছে পরিত্যক্ত জিনিশপত্রের আবর্জনার স্তুপ।সেইখানেই কয়েকটি জলের ট্যাংক রয়েছে আকাশ পানে চেয়ে।প্রতিনিয়তই সেখানে জমছে জল।আর এখানে আদর্শ প্রজননক্ষেত্র হয়ে উঠছে ডেঙ্গু মশার। কলকাতা পুরসভার ৩৬ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের সামনে টাকি গার্লস স্কুলের পাশে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি কিংবা রাজ্য সরকারের নির্মল বাংলা কর্মসূচির কেন প্রতিফলন ঘটেনা সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল অভিভাবকরা।