বর্ধমানের অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্যায়ারা র বিশ্ব জল দিবস, যক্ষা দিবস পালন।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : পূর্ব বর্ধমানের অগ্রজ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস পালন করল বর্ধমান শহর ও শহরতলীতে। এই সংস্থাটি ধারাবাহিকভাবে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দৃষ্টান্তমূলক সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে। পানীয় জল ও ব্যবহারিক জল সঠিকভাবে ব্যবহার না করায় তীব্র জলসংকটের একটি দিক উঠে এসেছে। যথেষ্ট ভাবে মাটির তলা থেকে জল তোলার ফলেও জলের সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ব উষ্ণায়ন ও এর জন্য দায়ী। পরিবেশ তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষা সমস্ত কিছুই এর জন্য মানুষ দায়ী। বিশ্ব জল দিবসে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান শহরের বিভিন্ন এলাকায় যেখান থেকে সাধারণ মানুষ পানীয় জল সংগ্রহ করেন সেই এলাকাগুলোকে জীবাণুমুক্ত করে নিরাপদ পানিও জল গ্রহণকে সুনিশ্চিত করে। সংস্থার সম্পাদক নিজে বিভিন্ন এলাকার ট্যাপ কল ও টিউবয়েলের চারপাশ পরিষ্কার করে চুন ছড়িয়ে দেন। সংস্থার কর্ণধার তথা সম্পাদক প্রলয় মজুমদার বলেন, আগামী দিনে জলের হাহাকারে জলের দখল নিয়ে বিশ্বজুড়ে অশান্তি তৈরি না হয় এবং নিরাপদ পানীয় জল গ্রহণ সুনিশ্চিত করা যায় সেই লক্ষ্যে এই সোসাইটি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে। জল ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই জলের অপচয় রোধ করা যায় যেমন অহেতুক কলের মুখ খুলে রাখবেন না, বিশেষ করে দাড়ি কাটার সময় ও দাঁত মাজার সময় কলের মুখ বন্ধ রাখা উচিত। গাছের গোড়ায় সূর্যাস্তের পর জল দিলে জলের অহেতুক বাষ্পীভবন রোধ করা সম্ভব। সংস্থার তরফে দ্যুতি কোনার, অঙ্কিতা সাম, জয়ী সাহা, মনীষা মন্ডল, ইতি পোড়েল প্রমুখরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে এই সংস্থাটি ২৩ মার্চ বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন করলো। বিধি অনুযায়ী ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষা দিবস। বিশ্ব যক্ষা দিবসের প্রাক্কালে সংস্থাটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে এই দিবসটি পালন করে। বিশ্ব যক্ষা দিবসের এবছরের থিম yes ! We can end TB . বর্ধমান শহরের দিনহাটা এলাকার নিউ স্পোর্টিং ক্লাবে আয়োজিত এদিনের অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। মূলত রানীবাগান ও কোরাপাড়া বস্তি এলাকার প্রায় দেড়শ জন শিশু ও বয়স্ক মানুষের স্ক্রিনিং করা হয় টিবি নির্ণয়ের জন্য। এর পাশাপাশি এইচআইভি, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন স্ক্রিনিং করা হয় । উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্যকে সফল করে তুলতে ২০২৫ সালের মধ্যে টিবি মুক্ত ভারত গড়ে তুলতেই এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল বলে উদ্যোক্তারা জানান। প্রত্যেক রোগীদের হাতে টিফিন তুলে দেওয়া হয়, বয়স্কদের জন্য ছিল পাউরুটি, কলা এবং এর পাশাপাশি বাচ্চাদের দশটা করে ডিম দেয়া হয় মূলত প্রোটিন এনার্জি ম্যাল নিউট্রিশন রোধ করে তাদের অনাক্রমতা শক্তি বাড়ানোর জন্য। সংস্থার সম্পাদক প্রলয় মজুমদার জানান প্রত্যেক মাসেই এই সংস্থা শহর ও শহরতলীর বাচ্চাদের স্ক্রিনিং করানো হয়। বাচ্চাদের প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে পুষ্টির মান উন্নয়নের জন্য সয়াবিন, ডিম, ছাতু, সুজি খাওয়া উচিত । এই সংস্থা এই সমস্ত ধরনের মাল বাচ্চাদের সরবরাহ করে থাকে। সেদিনের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি সুনন্দা প্রামাণিক, সুদীপ মন্ডল, শিল্পা অধিকারী, দ্যুতি কোনার, অর্পিতা আঢ্য সহ অন্যান্য সদস্যরা।