|
---|
ডায়মন্ড হারবার: নুরউদ্দিন: ডায়মন্ড হারবারে এখনও মেলে ২২ টাকায় মাংসভাত, মাছভাত মেলে ২১ টাকায়। কি মনে করছেন আপনি, মনে হলেও এটাই সত্যি।
ডায়মন্ড হারবারের লালপোল পেরিয়ে যে কোনও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দেবে ২১ টাকার মাছ ভাত 22 টাকার মাংস ভাত ক্যন্টিনগুলি। পরস্পর রাস্তার দু’পাশে রয়েছে এই ক্যান্টিন গুলি , ঘোষ চিপ ক্যন্টিন, দীপক চীপ ক্যন্টিন ও ভোলা চিপ ক্যন্টিন। প্রায় ৩৫ বছরের বছরের বেশি সময় ধরে চলছে এই সস্তার হোটেলগুলি। সস্তার এই মাংস ও মাছ ভাত খেতে এখনও ভিড় জমান বহু টোটো চালক অটোচালক বিভিন্ন পেশার শতাধিক ব্যক্তি। প্রথমে ২ টাকা ৫০ পয়সায় মিলতো মাছভাত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকায়। এখন মেলে মাংস ভাত।
প্রতি চিপ ক্যন্টিনেই প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন ব্যক্তি সারাদিনে মাংস ভাত কেউবা মাছ ভাত কেউবা ১৭ টাকায় ডাল সবজি ভাত খেতে আসেন এই চিপ ক্যান্টিন গুলিতে। সর্বমোট প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি এই চিপ ক্যান্টিন থেকে প্রাত্যহিক মধ্যাহ্নভোজন করে থাকেন। দাম যথেষ্ট কম হওয়ায় অনেকেই আসেন এই ক্যন্টেনগুলিতে।
এ নিয়ে ঘোষ চিপ ক্যান্টিনের মালিক সমীর ঘোষ জানান মূলত তাঁরা ক্যান্টিন গুলিতে বাইরের কোনো শ্রমিক রাখেন না। নিজেরাই সব কিছু রান্না করেন। এছাড়াও আনুসঙ্গিক কাজগুলি তাঁরা করে থাকেন। সেজন্যই এতো কম দামে তাঁরা সেগুলি পরিবেশন করতে পারেন।
বাজার করা থেকে শুরু করে রান্না সবকিছুই করেন ওই চিপ ক্যন্টেনগুলির মালিক এবং তাঁদের পরিবারের লোকজন। সাধারণ মানুষজনের মুখে সল্প মূল্যে আহার তুলে দেওয়ায় তাঁদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা বছরের পর বছর। কতদিন এই কমমূল্যে তাঁরা ক্যান্টিনগুলি চালিয়ে যেতে পারবেন সেটাই এখন বড় প্রশ্ন ডায়মন্ড হারবারে।