ভাঙা সংসার জোড়া লাগালো ডিএলএসএ

ইয়াসমিন খাতুন, বোলপুর: ইলামবাজারের পাপিয়া খাতুনের সাথে বোলপুরের রফিকুল ইসলামের ( দুটি নামই কাল্পনিক) বিয়ে হয় দু বছর আগে। বিয়ের পর মাস সাতেক দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলেও পরে পারিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্য তৈরী হয় দুজনের মধ্যে । এরপর টানা ১ বছর পাঁচ মাস ধরে দুজনের মধ্যে কোনও রকম সম্পর্ক ছিলো। মেয়েটি থাকতো বাবার বাড়ীতে, তার স্বামীও কর্মসূত্রে বাইরে চলে যায়। এরমাঝে ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে অনেক চেষ্টাও করেও ব্যার্থ হয় দুই পরিবারের লোকজন। অবশেষে মেয়েটি পুলিশের সাহায্যে দ্বারস্থ হয় ডিষ্টিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির। লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সচিব বিচারক সূর্পনা রায়ের নির্দেশে পার্শ্ব আইনী সহায়ক মহিউদ্দীন আহমেদের মধ্যস্থতায় দুই ভাঙা মন জোড়া লাগলো বৃহষ্পতিবার বোলপুর থানায়। স্বামী- স্ত্রী দুজন কে পাশাপাশি বসিয়ে ঘন্টা খানেকের আলোচনায় আয়েসা ও রফিকুলের ভাঙা মন জোড়া করা হলো। পুরনো ভুল বুঝাবুঝি ভুলে নতুন করে সংসার করার পরামর্শ দেওয়া হয় দুজনকেই। পার্শ্ব আইনী সহায়ক মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, স্ত্রী চেয়েছিলো সংসার করতে, তার স্বামীরও ইচ্ছে আছে। মাঝে সমস্যা ছিলো দুজনের কিছু ভুল বুঝাবুঝি। আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধান করা হয়। দুজনেই খুশি মনে বাড়ী যায়। সংসার ভেঙ্গে যাওয়া খুব খারাপ, ভাঙা সংসার জোড়া লাগাতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগছে। একই ভাবে গত শনিবারও বোলপুরের বাঁধগোড়ার এক যুগলের সাংসারিক অশান্তি ছিলো। তারাও দুজনেই পৃথক পৃথক ভাবে বসবাস করতো । বাঁধগোড়ার দম্পতীর ভাঙা সংসারও জোড়া লাগানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এখন সামান্য বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর বিবাদ তৈরী হচ্ছে। অনেকাংশেই সংসার ভেঙে যাচ্ছে। এমন কি সামান্য ঘটনা নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হচ্ছে। ডিষ্টিক লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির সচিব বিচারক সুর্পনা রায়ের নির্দেশে আলোচনা।