হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে না টিবি রোগের ওষুধ।

রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ : কোনো হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে না টিবি রোগের ওষুধ। চরম দুশ্চিন্তায় টিবি রোগীরা। বারবার হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টিবির ওষুধ না পেয়ে আতঙ্কিত রোগী থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। কোন ফার্মেসি কিংবা বেসরকারি সংস্থা তেও কিনে পাওয়া যাচ্ছে না এই টিবি রোগের ওষুধ। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং হাসপাতালেই নেই টিবি রোগের ওষুধ। টিবির ওষুধ না পেয়ে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে রোগীদের। বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকিও। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা গুলোতেই মূলত টিবি রোগীর সংখ্যা বেশি। শুধুমাত্র সামশেরগঞ্জ এলাকাতেই চার শতাধিক টিবি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন বলেই খবর।তার মধ্যে রয়েছে কঠিনতর টিবি এম ডি আর রোগীও। টিবি আক্রান্ত রোগীদের পরিবারের অভিযোগ, প্রায় দেড় মাস থেকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার কোন হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই টিবির ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। বারংবার হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রতে একটা ওষুধের জন্য ঘোরাফেরা করলেও ওষুধ না পেয়ে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রতিদিন টিবি রোগীদের জন্য চার থেকে পাঁচ রকমের ওষুধ খাওয়া বাধ্যতামুলক হলেও একটিও ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরেও কিনে পাওয়া যাচ্ছে না ওষুধ। ফলে তারা কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। চিকিৎসক মহল জানিয়েছেন, টিবি রোগীকে প্রত্যেকদিন ওষুধ খাওয়া বাধ্যতামূলক। একদিন ওষুধ বাদ পড়লেই রোগ অত্যাধিক হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়তে পারে মৃত্যু ঝুঁকিও। পাশাপাশি ক্রমশই বাড়বে সংক্রমণের সংখ্যা। কিন্তু এই মুহূর্তে দেড় মাস ধরে ওষুধ না পাওয়া যাওয়ায় রোগীদের দুশ্চিন্তা শতভাগ বেড়েছে। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আমাদের কাছে কোনরকম ওষুধ না আসায় আমরা দিতে পারছি না। বিড়ি শ্রমিক এলাকায় একদিকে যখন টিবি রোগের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশে বাড়ছে ঠিক তখন এই রোগীদের চিকিৎসার জন্য ওষুধ দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়াই কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না হাজার হাজার টিবি রোগী। অবিলম্বে টিবি রোগীদের জন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ পাঠানোর দাবি করেছেন তারা।