বাগনানের গাছ কাকু শ্রদ্ধানুষ্ঠানে গাছ দিয়ে সবুজায়নের বার্তা দিচ্ছেন।

লুতুব আলি, নতুন গতি : হাওড়া জেলার বাগনানের ভূমিপুত্র চন্দ্রনাথ বসু একজন দক্ষ সংগঠক, বাংলার সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা গাছ কাকু নামে খ্যাত চন্দ্রনাথ বসু সবুজায়নের বার্তা দিতে সামাজিক অনুষ্ঠানে চারা গাছ দিয়ে থাকেন। বাংলার সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে উজ্জীবিত করতে চন্দ্রনাথ বসু প্রত্যেকটা দিন অনুষ্ঠানের মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ২২ এপ্রিল ছিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। ধরিত্রীর বুক থেকে নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় প্রতি বর্ষা, অতি গরম, অতি শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে চন্দ্রনাথ বসু আমন্ত্রিত হয়ে হাওড়ার বাগনানের বাঙালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর গ্রামে প্রয়াত অনিল পাত্রর বাড়িতে শ্রাদ্ধা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত অনিল পাত্র বৃক্ষ ভালবাসতেন। সবুজায়নের প্রতি ও তার ছিল গভীর টান। প্রয়াত অনিল পাত্রের সুযোগ্য পুত্র দেবজ্যোতি পাত্র চন্দ্র বাবুকে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্ভাষণ জ্ঞাপন করেন। এই অনুষ্ঠানে দেবজ্যোতি পাত্র হাতে বৃক্ষ শিশু তুলে দেন। সাধারণভাবে আমন্ত্রিতরা যেকোনো অনুষ্ঠানে আকর্ষণীয় গিফট দিয়ে থাকেন। চন্দ্রনাথ বাবু একজন ব্যতিক্রমী মানুষ সবুজায়নের বার্তা দিতে তিনি যে সমস্ত জায়গায় আমন্ত্রিত হয়ে যান সব জায়গাতেই তিনি বৃক্ষ শিশু উপহার স্বরূপ তুলে দেন।