বাঙালি মুসলিম সমাজ সংস্কারের পথে ‘বাংলার জোনাকি’

 

     

     

     

    বিশেষ প্রতিবেদক, বীরভূম:

    এ বছর রমজান মাসে সারা বাংলার অধিকাংশ মসজিদে বাঙালি মুসলিমদের সার্বিক উন্নয়ন কামনাকারী ইস্তেহার দেখা মিলল। ইশতিহারের প্রথম দিকে লক্ষ্য করা গেল বিশ্ব মুসলিমের ঐতিহাসিক স্বর্ণযুগ স্মরণ করানো হয়েছে, এরপর মুসলিমরা কিভাবে তাদের ঐতিহ্য-ইতিহাস হতে বঞ্চিতের মুখে সম্মুখীন হয়েছে তাই ইস্তেহার করা হয়েছে। ভারতীয় মুসলিমদের বর্তমান পরিস্থিতি ও তার নিরাময়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এবং রাজনৈতিক মতাদর্শের উপর সুন্দর মতামত তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বহিরাগত শক্তির আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতেই বাঙালি মুসলিমদের উস্কানি মূলক উগ্রতা হতে বঞ্চিত রাখার আলোচনাও উঠে এসেছে।


    ‘বাংলার জোনাকি’ সংগঠনের সম্পাদক তথা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সাদ্দাম আনসারি সারা ভারতজুড়ে বিভিন্ন প্রজেক্টে যোগদান দিয়েছেন। এর পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজে নিযুক্ত থাকেন। ‘বাংলার জোনাকি’ সাধারণত ভূমিপুত্র উন্নয়ন মোর্চার বাঙালি জাতির সার্বিক উন্নয়নের পরিকাঠামো তদারকির একটি শাখা বলা যেতে পারে। যে জাতি তার ইতিহাস জানেনা তারা কখনো ইতিহাস রচনা করতে পারেনা। তাই বাঙালি মুসলিমদের ইতিহাস তুলে ধরে সজাগ করতে এবং বাঙালি জাতির সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে থাকে এই সংস্থা।


    সাদ্দাম আনসারি জানান ভারতীয় মুসলিমদের বর্তমান প্রজন্ম এখন রোজা, নামাজ, হজ্জ, যাকাত এর মধ্যেই ইসলাম ধর্মকে সীমাবদ্ধ রেখেছে। শিক্ষা তথা রাষ্ট্রের প্রতি দায়ভার ইসলাম ধর্মের এক বড় অংশ। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন বলেছে মানব কল্যাণে মুসলিমদের হতে হবে মানব মন্ডলির ভারসাম্য।


    তিনি আরো জানান অতীতে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্কারের জন্য আমাদের পূর্বপুরুষদের অত্যন্ত সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বলা বাহুল্য যে কয়েক দশক পূর্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিমদের প্রবেশ অধিকার দেওয়া হতো না, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের জন্য তা আর নেই, বরং বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা তথা খোলামেলা সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। তাই এই যুবসমাজকে প্রকৃত রূপে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে আকর্ষিত করতে ও একটি আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মের প্রতি তিনি আশাবাদী। ইমামদের স্বাধীনতা আজ জনস্বার্থে ও রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে বিলুপ্তপ্রায় অবস্থা। স্বাধীনতা যুদ্ধে ইমামদের অবদান, খিলাফতের যুগে ইমামদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব ইমামদের হাল ফেরাতেই তার প্রযুক্তিবিদ্যা যথেষ্ট কার্যকর হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন এবং উন্নত পরিকাঠামোর দিকে টেনে নিয়ে যেতে বাঙালি মুসলিমদের ইঙ্গিত করছেন।