বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ দেখতে আসায় উন্নত চিকিৎসা পেল জখম তৃণমূল কর্মী

আজিজুর রহমান, গলসি : ২২ শে এপ্রিল ২০২৪আহত তৃণমুল কর্মীকে বর্ধমান দূর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলিপ ঘোষ দেখতে যাবার পরই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হল কোলকাতায়। রবিবার সন্ধার পর রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নির্দেশে বর্ধমান হাসপাতালে পৌছান গলসি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন। এরপর রাতেই তাকে কোলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এমন কাজের জন্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ও দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীকে ধন্যবাদ জানান স্বপনের স্ত্রী রুপা মল্লিক। পাশাপাশি ঘটনার পর থেকে তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন যে তার পাশে আছেন তা কার্যত স্মিকার করেন তৃণমূল কর্মী স্বপন। তিনি বলেন, গ্রামের নেতারা একশো দিনের পচিশ -ত্রিশ লক্ষ টাকা মেরে রেখেছে। গ্রামের অনেক গরীব মানুষকে জরিমানা করেছে। সালাউদ্দিনের চার বছর চাষ বন্ধ করে ছিল। ওইসবের প্রতিবাদ করেছি বলেন আমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার চক্রান্ত করেছে কিছু দুস্কৃতী।

    উল্লেখ্য, ঈদের আগের দিন সন্ধায় দলীয় কর্মীদের হাতে গুরুতর ভাবে জখম হন তৃণমূল কর্মী স্বপন মল্লিক। তাকে টাঙি, রড ভোজালী দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গলসি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বপনের পরিবার। ঘটনায় তার সারা শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। দুটি পা একটি হাতে মারাত্মক ভাবে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ওইদিন রক্তশুন্য অবস্থায় পুলিশ তাকে বর্ধমান হাসপাতালে আনে। রাতেই রক্ত দিয়ে শুরু হয় তার চিকিৎসা। এরপর গত শনিবার আচমকা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বপনকে দেখতে যান লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলিপ ঘোষ। তার পর থেকেই স্বপনকে নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। তবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আসার প্রসঙ্গে জাকির হোসেন বলেন, নেংরা রাজনীতি না করে মানবিকতার খাতিয়ে এলে ওয়েলকাম। কারন ঘটনার পর থেকে আমরা স্বপনের চিকিৎসা করাচ্ছি। এখন আমাদের মন্ত্রীর নির্দেশ স্বপনকে কোলকাতায় নিয়ে যাচ্ছি। তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির জেলা নেতা রাজু পাত্র বলেন, স্বপন গরীব মানুষের একশো দিনের টাকা মেরে নেওয়ার প্রতিবাদ করছে বলে ওকে নৃশংস ভাবে মারধর করা হয়েছে। এখন তৃণমূল সেসব ঢাকা দিতে চিকিৎসা করানোর নামে মিথ্যা অভিনয় করছে। তাছাড়া আমরা কেউ হাসপাতালে রাজনীতি করতে যায়নি। সংখ্যালঘু মানুষরা বুঝে নিয়েছে তৃণমূল তাদের কে ফুটবলের মতো ব্যবহার করছে। যার জবাব তারা ভোট বাক্সে দেবে পরবে বলেই তৃণমূলের ভয় হচ্ছে।