মানুষ, পথ কুকুর, পশু পাখিদের জলদান করল বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গ জ্বলছে। অতিরিক্ত দহনে অনেক জায়গায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আবার অনেকের প্রাণও যাচ্ছে। এইরকম একটা ভয়াবহ অবস্থায় বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বর্ধমান শহর ও শহরতলী এলাকায় জলছত্রের ব্যবস্থা করল। এই সংস্থার সম্পাদক প্রলয় মজুমদার সহ সংস্থার ছাত্র-ছাত্রীরা ৪২০ সেলসিয়াসের তাপপ্রবাহকে সঙ্গী করে রাস্তায় কর্মরত শ্রমিক, সিভিক ভলেন্টিয়ার, ট্রাফিক পুলিশ, খাবার ডেলিভারি করা নারী-পুরুষ, টোটো চালক, ভ্যানচালক, রিক্সা চালক এমন নানা পেশার মানুষ এবং পথচলিত মানুষদের হাতে একটি করে ঠান্ডা জলের বোতল এবং ও আর এস এর প্যাকেট তুলে দিলেন। এছাড়াও পথের ধারে অসহায় পথ কুকুর এবং অন্যান্য পশুদেরও জল ও বিস্কুট খাওয়ানো হয়।। সোসাইটির সম্পাদক মজুমদার বলেন, এই পৃথিবী সকলের এবং সকলে একসাথে বাঁচার লক্ষ্যে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস বাইশে এপ্রিলের প্রাক মুহূর্তে এই মহতি উদ্যোগের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও সম্পাদক সকলকে আহ্বান করেন পাখিদের জন্য সাধের জলের বন্দোবস্ত করার। তবে এ প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার জমা জলে ডেঙ্গুর মশার ডিম পাড়ে তাই ছাদে পাখিদের জন্য রাখা জলের পাত্র দুদিন অন্তর পরিষ্কার করতে হবে। প্রচন্ড দাবদাহকে কিভাবে মোকাবেলা করে যায় সে প্রসঙ্গে সোসাইটির পক্ষ থেকে দশ দফা দাওয়াই দেওয়া হয়। সংস্থার মিডিয়া অফিসার অঙ্কিতা সাম বলেন, সংস্থার পক্ষ থেকে তাপ প্রবাহকে মোকাবেলা করার জন্য যে ১০ দফা সাবধানতা অবলম্বন করার দিকগুলি আলোকপাত করা হয়েছে সেগুলি মেনে চললে খানিকটা রেহাই পাওয়া সম্ভব। জলছত্রের অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নার্গিস লায়েক, দ্যুতি কোনার, জয়ী সাহা, মনীষা দাস, পূর্বাশা রায় প্রমুখ।