মেমারি চলচ্চিত্র উৎসব ও আর্ট কার্নিভ্যাল

আলিফ ইসলাম:-মেমারি:-৩১ ডিসেম্বর:-
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি শহরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত সুলতানপুর কিশলয় পার্ক ও অভিষেক বিয়ে বাড়ির প্রাঙ্গনে বছরের শেষ দুই দিন ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হল মেমারি চলচ্চিত্র উৎসব ও আর্ট কার্নিভ্যাল। মেমারির দুটি সংস্থা স্ট্রীটলাইটস এবং দীপান্বিতার দুই কর্ণধার অর্ঘ্য বসু ও তন্দ্রা বসু —-মাতা ও পুত্রের সঙ্গে তাঁদের সহযোগী সদস্যবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মেমারির আপামর জনসাধারণ অবাদ প্রবেশের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উপভোগ করলেন। একই সঙ্গে কয়েকটি নাটক পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও স্ট্রীটলাইটস পত্রিকার পক্ষ থেকে মেমারির কয়েকজন গুণী মানুষকে জীবন কৃতি সন্মাননা জ্ঞাপন করা হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের জন্য। প্রথমদিন কিশলয় পার্কে কার্তিক চন্দ্র দাস মঞ্চে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয় মেমারির দুই গুণী ব্যক্তিত্ব ডাঃ অভয় সামন্ত ও পার্থসখা অধিকারী এবং আসানসোলের রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তীর হাত ধরে ফিতে কেটে।স্ট্রীটলাইটস পত্রিকার দ্বিতীয় তথা নবান্ন সংখ্যা প্রকাশিত হয় উপরিউক্ত তিন গুণীজনের সঙ্গে মেমারির আরো দুই গুণী ব্যক্তিত্ব সন্দীপ রায় ও তন্দ্রা বসুর হাতে মোড়ক উন্মোচন করে। মেমারির আর এক গুণী ব্যক্তিত্ব মনোময় ঘোষ মঞ্চে দ্বিতীয় দিন গুণী ব্যক্তিত্বকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় তাঁদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য।২০১৮ সালে আষাঢ়ে আড্ডার মধ্য দিয়ে যার শুরু হয়ে পথ চলার সূচনা,তা ২০১৯ সালে চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্য দিয়ে আরো প্রসারিত হ‌ওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলা। কিন্তু এরপর কালের অমোঘ নিয়মে হঠাৎ কোভিদ অতিমারির জন্য অন্যান্য অনেক কিছুর মতো এর‌ও থমকে যাওয়া। এবছর ২০২৩ সালে আবার আগ্ৰহের সঙ্গে পথে নামা। ২০২৩ সালে বিগত বছরের জীবন কৃতি সন্মাননাগুলিও প্রদান করা হয়। ২০১৯ সালে মেমারির নাট্য ব্যক্তিত্ব স্বপন বসু, ২০২০ সালের জন্য বিজ্ঞানী তথা শিক্ষক চন্দ্রনারায়ন বৈরাগ্য,২০২১ সালের জন্য কবি, সাংবাদিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সুফি রফিক উল ইসলাম,২০২২ সালের জন্য মেমারি পৌরসভার উপ পৌরপিতা ও সমাজসেবী ব্যক্তিত্ব সুপ্রিয় সামন্ত এবং ২০২৩ সালের জন্য চিকিৎসক, কবি এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি মনস্ক ব্যক্তিত্ব ডাঃ অভয় সামন্ত প্রমুখকে সন্মাননা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া ২০১৯ সালে সুদীপ্ত বোস, সুনীল ভট্টাচার্য্য,দেবপ্রসাদ সরকার,সেখ আনসার আলি (তাতারপুর), এই চারজন গুণীজন কেও বিশেষ সন্মাননা জ্ঞাপন করা হয় স্মারক প্রদান করে। এছাড়া দীপান্বিতা ও মার্ভেলস দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়। মেমারির পূবসাম এবং আবৃত্তির পাঠশালা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। মৃণাল সেনের কলকাতা ৭১ এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর বৈতরণীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি শর্ট ফিল্ম দেখানো হয়। এছাড়া চর্যাপদ ও বিসর্গ এর নাটক পরিবেশিত হয়। সংস্কৃতি প্রেমী মেমারির মানুষ নাটক ও শর্ট ফিল্ম সমন্বিত চলচ্চিত্র উৎসব দারুন ভাবে উপভোগ করেন।