জেল বন্দীদের বর্ধমান উৎসবে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।

লুতুব আলি, নতুন গতি : জেল বন্দীদের বর্ধমান উৎসবে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। ইতিহাসের বর্ধমান, উন্নয়নে বাড়ছে মান। এই থিম নিয়ে শুরু হয়েছিল বর্ধমান পৌর উৎসব। অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার সুস্থ সংস্কৃতি বাতাবরণে সম্পন্ন হওয়ায় সকলকে অভিবাদন জানিয়েছেন। ৩১ ডিসেম্বর ছিল বর্ধমান পৌর উৎসবের শেষ দিন। এদিনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের জেল বন্দিদের নিয়ে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের রূপায়ণ পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী বর্ধমান ছন্দম এর কর্ণধার মেহেবুব হাসান। ছয় জন পুরুষ ও ছয়জন মহিলা সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিলেন। যেকোনো কারণে এই সাজা প্রাপ্ত আসামিরা বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দী জীবন কাটাচ্ছিলেন। মেহেবুব হাসানের উদ্যোগে এই আসামীদের সুপ্ত সাংস্কৃতিক চেতনাকে বিকাশ ঘটিয়ে বর্ধমান পৌর উৎসবের প্রাঙ্গণে হাজির করিয়েছিলেন। উৎসবের সাংস্কৃতিক নৈপুণ্য দেখে এই মানুষেরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিলেন। সমাজের মূল স্রোতে মিশতে না পেরে তাৎক্ষণিকভাবে উৎসবের প্রাঙ্গণে উপস্থিত হওয়ায় তারা অনাবিল আনন্দে ভেসে গিয়েছিলেন! উৎসবের তাদের নিবেদন ছিল রবীন্দ্র নৃত্য আনন্দধারা বয়েছে ভূবনে…. ও লোকনৃত্য জারুলের ফুলে দলে দলে ভোমরা…. আবৃত্তি পরিবেশন করেন এদের মধ্য থেকে রুনা দাস। অন্যান্য যারা অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন বিনয় বাগদী, শেখ ইসরাইল, স্বপন শিকদার, অমিত বাউরী, বাপন দাস, মুক্ত মাল, রিনা দাস, সেলিমা খাতুন, তনু মাল, কুসুমকুমারী ও মনুয়া সিংহ মজুমদার।