দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার লাগাতার কর্ম বিরতির পথে হাঁটতে চলেছেন আশা কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- দীর্ঘদিন ধরে একাধিক দাবি দাওয়া থাকলেও সেই সকল দাবি দাওয়া পূরণ না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার লাগাতার কর্ম বিরতির পথে হাঁটতে চলেছেন আশা কর্মীরা। রাজ্যের অন্যান্য জেলার আশা কর্মীদের ইউনিয়ন পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের তরফ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তারা একাধিকবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এমনকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুক্রবার আশা কর্মীদের এই ইউনিয়নের বীরভূম জেলার আশা কর্মীদের তরফ থেকে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়িকে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এই সকল আশা কর্মীদের যে সকল দাবি দাওয়া রয়েছে সেগুলি হল ১) ইনসেনটিভের টাকা ভাগে ভাগে দেওয়া চলবে না। অবিলম্বে সমস্ত টাকা একসঙ্গে মিটিয়ে দিতে হবে। ২) ভ্যাক্সিনেশনের জন্য আশা কর্মীদের দিয়ে যে ডিউটি করানো হয়েছিল তার টাকা অবিলম্বে দিতে হবে।কোনও আশাকর্মী কোভিড আক্রান্ত হলে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী অবিলম্বে এক লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং যদি কোনও আশা কর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান তাহলে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। ৪) সমস্ত আশা কর্মীকে এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন দিতে হবে এবং রিচার্জ খরচ দিতে হবে।এর পাশাপাশি কর্ম বিরতি ডাক দেওয়া আশা কর্মীদের অভিযোগ, পুরুলিয়া, হুগলি, দার্জিলিং, উত্তর ২৪ পরগনা এই সকল বেশ কয়েকটি জেলার আশা কর্মীদের ইন্সেন্টিভ একসঙ্গে তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে। অথচ বীরভূমের এই আশা কর্মীরা এখনও পর্যন্ত ইনসেন্টিভ একসঙ্গে পাচ্ছেন না। এই দ্বিচারিতা কেন হবে?শুক্রবার কর্ম বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বীরভূমের এই আশা কর্মীরা স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সামনে প্রায় ২০ মিনিট পথ অবরোধ করেন। আশা কর্মীদের এই সকল দাবি দাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি।