|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম:
বীরভূমে জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে সৌজন্য বিনিময় জোট প্রার্থী ও তৃণমূলের ।
বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়নপত্র জমা করলেন তৃণমূল ও জোট প্রার্থীরা। চতুর্থ দফার দফায় আগামী ১৩ই মে বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য ভোটগ্রহণ করা হবে।
বীরভূমের ৪১ নম্বর আসন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র এবং ৪২ নম্বর আসন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বীরভূমের সিউড়িতে জেলা শাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা করলেন প্রার্থীরা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় অন্যান্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে এক বর্ণাঢ্য মিছিল করে জেলা শাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। এই মিছিলে অংশ নেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আসিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ, বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা সহ অন্যান্যরা।
অপরদিকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের জোটপ্রার্থী মিল্টন রশিদ ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের জোট প্রার্থী শ্যামলী প্রধানও সোমবার মিছিল করে জেলা শাসকের দপ্তরে এসে মনোনয়নপত্র জমা করলেন।
মনোনয়নপত্র জমা করার পর তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় জোট প্রার্থী মিল্টন রশিদের সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন। তিনবারের জয়ী শতাব্দী রায় বলেন মিল্টন রশিদের সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয় ও বিরোধী প্রার্থী হয়ে লড়লেও আমাদের ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক যাতে বজায় থাকে, সে চেষ্টাই করবো। শতাব্দীর সাথে আসা তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক স্বপন ঘোষ কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে সৌজন্যতা দেখান মিল্টন রশিদ।
জয়ের বিষয়ে বিদায় সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন আগামী ৪ তারিখ ফলাফলের দিনই প্রমাণ হয়ে যাবে যে, তৃণমূলই জয়ী। মমতা ব্যানার্জির প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই এবং আগামী ১০ বছরেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী বলে কেউ থাকবে না, মমতা ব্যানার্জির প্রতিদ্বন্দিত তিনি নিজেই; বলে মন্তব্য করেন শতাব্দীরায়।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে শতাব্দী রায় সাঁইথিয়ার নন্দীকেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন। এরপর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর পাথরচাপুরি দাতা বাবার মাজারে চাদর চড়ান।