মাহেশ জগন্নাথ রথযাত্রার সঙ্গে বহু মনিষীর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সেই উজ্জ্বল ইতিহাস মাথায় রেখেই মন্দিরের ঐতিহ্যের পরম্পরায় যুক্ত হল নতুন এক পালক

নিজস্ব সংবাদদাতা : মাহেশ জগন্নাথ মন্দির রথযাত্রার সঙ্গে বহু মনিষীর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব (sri ramkrishna)। সেই উজ্জ্বল ইতিহাস মাথায় রেখেই মন্দিরের ঐতিহ্যের পরম্পরায় যুক্ত হল নতুন এক পালক। মন্দির প্রাঙ্গনের ভিতরেই স্থাপিত হল রামকৃষ্ণদেবের শ্বেতপাথরের মূর্তি। রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গেই মা সারদা (ma sarada) ও স্বামী বিবেকানন্দর-র (swami vivekananda) মূর্তিও স্থাপিত হল। মূর্তি প্রতিষ্টা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে হাজির হয়েছিলেন অগণিত ভক্ত। প্রায় হাজার দুয়েক ভক্তকে করা হয় ভোগ বিতরণ।মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েতরা জানাচ্ছেন, ১৮৮২ সালে প্রথমবার রামকৃষ্ণদেব পা রেখেছিলেন সেখানে। মোট বার তিনেক মাহেশে গিয়েছিলেন তিনি। ১৮৮৩ সালে মা সারদাও মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন বলে জানান সেবায়েতরা। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন গিরিশ ঘোষও। সেই স্মৃতি আগলে রাখতেই তাদের মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা হয়।মাহেশের মাহাত্ব ৬২৬ বছরের মাহেশের জগন্নাথ মন্দির দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম। সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শ্রীরামপুর গঙ্গার পারে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির নবকলেবরে সেজে উঠছে। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ সাহায্যে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। মন্দির সংস্কার থেকে তোরণ,মন্দিরের ভিতরে নাট মন্দির সহ দেবতাদের মন্দির নির্মান করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মাহেশে রথযাত্রায় এসে জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন।সেই মত চলছে নির্মানের কাজ।মাহেশের রথযাত্রা চলছে সেই ১৩৯৬ সাল থেকেই। ১৮৮৫ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে এখনকার রথটি। ১৫৫ বছর আগে শ্যামবাজারের বসু পরিবারের সদস্য হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু কুড়ি হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট উঁচু ১২৫ টনের রথটি তৈরি করান।