৭০ বছরের বৃদ্ধা মিলন সরকার দুই নাবালক নাতনির সঙ্গে একচিলতে ঘরে কোনরকমে কাটে দিন, নেই বিদ্যুতের জলের ব্যবস্থা, অসহায় অবস্থা বৃদ্ধা, সাহায্যের আর্জি

রতুয়া, মালদা: মালদা জেলার রতুয়া ২নং ব্লকের সম্বলপুর অঞ্চলের দইঘাট্টা গ্রামের মিলন সরকার, মাটির ভাঙ্গাচুরা বাড়ি একটু বৃষ্টি হলেই জল পরে ছাদ থেকে ঘড়েজমে জল,নেই শৌচালয় বা জলের কোন ব্যবস্থা, বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঘরে আলোর ব্যবস্থা বলতে হারিকেন এবং খুপির আলো,এরূপ অবস্থায় দিনের বেলায় ঘরজুড়ে বিরাজ করছে কুচকুচে অন্ধকার,শেই অবস্থাই দুই নাবালক নাতিকে নিয়ে অনাহারে কষ্টের দিন কাটছে সম্বলপুর অঞ্চলের দইঘাট্টা গ্রামের প্রায় ৭০ বছরের বৃদ্ধা মিলন সরকার, কুচকুচে সেই অন্ধকার ঘরে রান্না করার কোন ব্যবস্থা নেই তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে কোন নির্দয় অশ্রু জলে কোন রকম রান্না করছেন দুই নাবালিকা ,তবে সেই রান্নাও রোজ হয় না যেদিন গ্রামে গ্রামে গিয়ে দুটো পয়সা আনতে পারেনা সেদিন জলে না উনুন জুটে না দুবেলা খাবারটুকু।

    জানা গেছে বৃদ্ধা মিলন সরকার বয়স প্রায় ৭০ স্বামী মারা গেছে বহু বছর আগে। একমাত্র মেয়ে যার বিয়ে হয়েছিল রতুয়ার একটি গ্রামে,কিন্তু কয়েক বছর পরেই তার স্বামী মারা যায় সে অবস্থায় তার মেয়ে ,নিজের ছোট দুই মেয়েকে তার মা বৃদ্ধা মিলন সরকার কাছে ফেলে দিয়ে ভিন রাজ্যে বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছে বলে অভিযোগ বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়েছে বৃদ্ধা ঠিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারে না।

    পরিষ্কারভাবে দেখতেও পান্না ভিক্ষা করে কোনোরকমে কাটছিল দিন কিন্তু এখন বয়সের ভারে ভিক্ষা টুকু করতে পারেন না,যার ফলে সেই দুই নাবালক নাতনিকে,লোকের কাছে হাত পাততে হয় দু’মুঠো খাবার জন্য।

    এইমত অবস্থায় সরকারী বা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফের সাহায্যের কাতর আর্জি জানিয়েছেন বৃদ্ধা।

    তবে স্থানীয় মেম্বার প্রীতম দাস কে বৃদ্ধার সম্পূর্ণ ঘটনায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছেন,তাদের কোন প্রকার স্থানীয় কাগজপত্র না থাকার কারণে কোন প্রকার সরকারি সাহায্য করতে অসুবিধা হচ্ছে তবে আমি নিজ ব্যক্তিগত দিক থেকে সবরকম সাহায্য করছি এবং তার যত দ্রুতসম্ভব প্রমাণ কাগজ তৈরি করিয়ে সবরকম সাহায্য করা হবে।