|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটিতে রাতভর হাতির (Elephant) তাণ্ডব। গতকাল রাতে দলছুট একটি দাঁতাল ঢুকে পড়ে গঙ্গাজলঘাটির সবজি বাজারে। দুটি দোকান ভাঙচুরের পাশাপাশি সবজি নষ্ট করে। এরপর দাঁতালটি সুভাষপল্লি এলাকায় ঢুকে ভেঙে দেয় একটি বাড়ির পাঁচিল। বাড়ির বাসিন্দাদের রীতিমতো তাড়া করে নিয়ে যায় বলে দাবি। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় একঘণ্টা পর বন দফতরের কর্মীরা এসে হাতিটিকে বাগে এনে গঙ্গাজলঘাটিতে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেন।হাতির তাণ্ডবের জেরে আতঙ্ক নতুন কিছু নয়। কিন্তু বিয়েবাড়িতে ‘অতিথি’ হাতি, একেবারেই নজিরবিহীন ঘটনা। হাতির হঠাৎ আগমনে রীতিমতো আতঙ্কে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাতে একটি দলছুট হাতি আচমকাই গঙ্গাজল ঘাটি হাটতোলায় ঢুকে পড়ে। সেখানে দুটি দোকান ভাঙচুর ও বেশ কিছু সবজি নষ্ট করে। পরে সেই দাঁতাল ঢুকে পড়ে নেতাজি পল্লিতে। সেখানেও একটি বাড়ির পাঁচিল ভাঙে বলে খবর। পাশেই চলছিল বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান। দাঁতালটি সেদিকে গেলে সেখানের লোকজন হাতিটিকে জঙ্গলের দিকে বিতাড়িত করে। পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হলে বনকর্মীরা হাতিটিকে গঙ্গাজলঘাটির জঙ্গলে স্থানান্তরিত করে। বর্তমানে দাঁতালটি গঙ্গাজলঘাটির জঙ্গলেই রয়েছে।এদিকে দিনকয়েক আগে বীরভূমের পাড়ুইয়ে ফের তাণ্ডব চালায় হাতি। শেষপর্যন্ত ঘুম পাড়ানি গুলিতে দলছুট দুই হাতিকে কাবু করেন বন দফতরের কর্মীরা। অন্যদিকে শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি এলাকার চা বাগানে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক চিকিত্সার পর হাতি ও চিতাবাঘকে ছেড়ে দেওয়া হবে জঙ্গলে। বনদফতর সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমান থেকে অজয় পেরিয়ে সোমবার সকালে বীরভূমের পাড়ুইয়ে ঢুকে পড়ে দুটি দলছুট হাতি। শেষপর্যন্ত ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় তাদের। বীরভূমের ডিএফও দেবাশিস প্রধানের কথায়, দুটো হাতি বর্ধমান হয়ে অজয় পেরিয়ে পাড়ুইয়ে ঢোকে। পরে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়ি এলাকায় বন দফতরের খাঁচায় ধরা পড়ে চিতাবাঘ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় চা বাগানে মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছিল চিতাবাঘটিকে। শুক্রবার সেটির হামলায় জখম হন চা বাগানের এক শ্রমিকও।