| |
|---|

খান আরশাদ, বীরভূম:
রাজনগরে পয়লা অগ্রাহায়ন মীর সাহেবের দরগায় পালিত হল সম্প্রীতির নবান্ন। পহেলা অগ্রহায়ণ রাজনগরের কাদাকুলি গ্রাম সংলগ্ন মীর সাহেবের দরগায় হিন্দু ও মুসলিম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে নবান্ন উৎসব পালন করলেন।
নতুন ধানের অন্ন নবান্ন। পহেলা অগ্রহায়ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ধান মাঠের ঈশান কোণে গিয়ে এক মুঠ ধান কেটে শাক শাঁখ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে
সেটিকে লাল বা হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাস্তায় কোন কথা না বলে বাড়ি ফেরেন এরপর সেই ধান দিয়ে বাড়িতে লক্ষী পূজা করা হয় এবং নতুন ধান থেকে চিঁড়ে তৈরি করে মিষ্টান্ন সহযোগে রাজনগরের মুসলিম দরগায় প্রসাদ আকারে দেওয়া হয়। রাজনগরের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যান্য মানুষদের মত মালিপাড়ার দত্ত পরিবারের লোকেরা কয়েক পুরুষ ধরে বংশানুক্রমে এই নবান্ন পালন করে আসছেন। দত্ত পরিবারের নিতাই দত্ত, রবিলাল দত্ত, অরূপ দত্ত, তপন দত্তদের পাশাপাশি শওকত আলী, মফিজ আলী, মহম্মদ শরীফ, শেখ নাজুরাও এই নবান্ন উৎসবে শামিল হলেন। মীর সাহেবের দরগা এদিন হয়ে উঠল হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের এক মহামিলন ক্ষেত্র।
রাজনগরে মীর নুরুদ্দিন হুসেইনি ওরফে মীর সাহেবের দরগায় এদিন নবান্ন উৎসবের সূচনা করেন রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুকুমার সাধু। এদিন ফিতে কেটে নবান্ন উৎসবের সূচনা হয়। এরপর মীর সাহেবের দরগায় চাদর চড়ান পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। এই নবান্ন উপলক্ষে তিন দিনের মেলার আয়োজন করা হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। উপস্থিত ছিলেন পূর্ত-কর্মাধক্ষ সুকুমার সাধু, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পরিমল সাহা, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সরস্বতী ধীবর, মহম্মদ শরীফ, গাফফার খান, সুখেন গড়াই, বিতান ধীবর, শান্তি কমিটির সম্পাদক প্রদীপ দে, মফিজ আলী, শওকত আলী, সেখ নাজু, সেখ মন্টু, প্রদীপ বাগদি প্রমুখ।


