|
---|
উনজিলা খাতুন শিল্পী, মুরারই: বিজেপির দু:শাসনে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিনিয়ত হানাহানি, মারামারি কাটাকাটি, রক্তের স্রোত, অসহায়ত মানুষের আর্তনাদ বিভিন্ন মাধ্যমে যখন দেশবাসীর কাছে ভেসে আসছে তখন বাংলায় বইছে শান্তির হাওয়া। সীমিত সামর্থ্যের সর্বোচ্চ পরিবশ্রম আর ব্যবস্থপনা দিয়ে যিনি মানুষকে সুতবাতাস দিচ্ছেন সেই জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসেবে মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন নওগাঁর ভূমিপুত্র আবু তাহের খান এমপি। তাঁর তিন দশকের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় তিনি মুর্শিদাবাদের রাজনীতির সমর্থক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর আসাধারণ মানবিক গুণাবলী দিয়ে তিনি জয় করেছেন জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সবার মন জয় করে নিয়েছেন।
নব্বই দশকের শুরুতে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে কঠোর লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসীন হয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেৃতত্বে ছিলেন। তার এই বর্ন্যাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি চারবার নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে তিনি মুর্শিদাবাদ লোকসভার কেন্দ্র থেকে লোকসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নওগাঁ থেকে প্রথম বিধায়ক হন তিনি টানা চারবারের বিরহের আগে নওদা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দল নেতা ও একবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর জেলা কংগ্রেস সভাপতি হন। সর্বশেষ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে এমপি হয়ে তিনি দলের সভাপতির পদও অলঙ্কৃত করছেন।
পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভাগীরথী নদীর পাড়ের জেলা মুর্শিদাবাদ এক সময় ভারতীয় কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবে পরিচিতি থাকলেও সেই দুর্গ এখন ভেঙ্গে চুরে ক্রমশই ঘাসফলু, তৃণমূল তথা মমতাময় হয়ে উঠছে। আমার মনে হয় তাই রাজ্যজুড়ে একাধিক জেলায় দলের বড়সড় রদবদল হলেও মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি পদে বহাল আছেন আবু তাহের খান। দিদির এই বাস্তবধর্মী সিদ্ধান্তের জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে দিদির প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা নিবেদন করছি। পাশপাশি আমি মুর্শিদাবাদের সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানাই এ কারণে যে এ জেলায় আবু তাহের খানের মত একজন সুযোগ্য নেতৃত্বকে তারা ধরে রাখতে পেরেছেন।
শিক্ষানুরাগী, পরপোকারী, উদার মানিবক গুণাবলী সম্পন্ন আবু তাহের খান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জেলার মানুষের শান্তিতে থাকার অক্সিজেন যোগাচ্ছেন।
সায়ন্তন চ্যাটার্জি কিম্বা আসাদুল্লাহ কৃতি শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ উৎসাহ দিতে ভুল করেন না আবু তাহের খান। এলাকায় শিশু জলে ডুবে মরুক আর কোথাও আগুন লাগুক, রক্ত শিবির থেকে যে কোনো কিছু হলে সেখানে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা যেন তার রক্ত, শিরা উপশিরা, অস্থিমজ্জার সাথে মিশে গেছে। এই করোনা পরিস্থিতিতে নিজের জীবন বিপন্ন করে, নিজের পরিবারের মায়া উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত ছুটে চলছেন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। কখনও জলে ভিজছেন, কখনও রোদে শুকাচ্ছেন।
বঙ্গরাজনীতির এই কিংবদন্তী পলিটিশিয়ান হিসেবে দেশ বিদেশে পরিচিতি থাকলেও আবু তাহের খানকে যতটা না পলিটিশয়ান মনে হয় তার চেয়ে ওনাকে একজন ম্যাজিশিয়ান মনে হয়। তার মহানুভবতার জাদু দিয়ে তিনি সবাইকে আকৃষ্ট করেন মুর্শিদাবাদের এই হাতেম তাঈ।
গত ২১ জুলাই শহীদ দিবসে দিদি যখন সকলকে তৃণমূলের পতাকা তলে এসে ২০২১-এর লড়াইয়ে যুক্ত থাকার আহবান জানালেন তারপর পরের দিনই এই তাহের খানের কাছে অন্যান্য দল থেকে অন্তত চার হাজার নেতাকর্মী তৃণমূলের আনুগত্য স্বীকার করেন। সব মিলিয়ে এই কয়দিনে বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তলে ১০ হাজারের মতো নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন । এসবেরই নেপথ্য নায়ক আবু তাহের খান।
এই করোনা মহামারির মধ্যে সেদিন গেলাম এই মহান নেতার সাথে দেখা করতে। আমার মত একজন নগণ্য ব্যক্তির সাথে তার যে অমায়িক ব্যবহার আর ব্যক্তিত্বের পরিচয় পেয়েছি সত্যিই আমি গর্বিত। ভারতবের্ষর একজন নাগরিক হিসেবে ওনার কাছে গিয়ে আমার নিজেকে এই রাষ্ট্রের মালিক মনে হয়েছে। আর উনি রাষ্ট্রের সেবক হিসেবে আমাদের সেবা করছেন।
২০২১-এর লড়াইয়ে মুর্শিদাবাদে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসেবে, ঘাসফুলের অক্সিজেন হিসেবে জেলার মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধ অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাহের খানের হাতকে শক্তিশালী করতে জেলার সকল দাদা দিদি/ভাইবোনদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।