নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: অভাবনীয় পটপরিবর্তনে সরাসরি রাজ্য সভাপতি মহা গুরুত্বপূর্ণ পদে উত্তরণ। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ হিসেবে রাজনৈতিক জীবন খুব লম্বা না হলেও সংঘ-যোগ দীর্ঘদিনের। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে তাঁকে রাজ্য সভাপতি করে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কী উত্তরবঙ্গের প্রতি বাড়তি নজরের বার্তা দিল? বিধানসভা ভোটের পর দলের একাধিক সাংসদ-বিধায়ক পদ্ম শিবির ছেড়ে নাম লেখাচ্ছেন ঘাসফুলে, এই অবস্থায় দায়িত্ব সামলানো কতটা কঠিন? ভোট পরবর্তী হিংসার পর রাজ্য নেতৃত্বকে সেভাবে পাশে পাননি বলেই অভিযোগ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের, তাই নিয়েই বা কী মতামত তাঁর? বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে আসীন হওয়ার কিছুটা পর একঝলকে রইল তাঁর বক্তব্য-

    বিরোধী দলনেতা দক্ষিণবঙ্গের, আর রাজ্য সভাপতি উত্তরবঙ্গের, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কী কোনও বিশেষ বার্তা?

    আমি উত্তরবঙ্গের মানুষ হতে পারি। তবে আপাতত রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে। এখন আর শুধু উত্তরবঙ্গ বা জঙ্গলমহলের নয়, গোটা রাজ্যের দায়িত্বই দেওয়া হয়েছে আমার কাঁধে। তাই চেষ্টা করব সেভাবেই দায়িত্ব পালন করতে। বরাবরই যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, চেষ্টা করেছি নিষ্ঠাভরে পালন করতে। এবারও গুরুদায়িত্ব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বলতে চাইব, সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করব।

    অনেকেই দল ছাড়ছেন, এই সময় কী বাড়তি কঠিন দায়িত্ব?

    যারা ভারতীয় জনতা পার্টির নীতি-আদর্শে বিশ্বাস করেন, তারা কখনই দল ছাড়বেন না। কেউ হয়তো ব্যক্তিগতভাবে সমস্যা মনে করায় বা কোনও উদ্দেশ্যে দল ছেড়েছেন। অবশ্যই যারা চলে গেছেন তাদের জন্য খারাপ লাগছে। থাকলে দল শক্তিশালী হত। তবে সঙ্গে এটাও বলতে চাই, যারা নীতি আদর্শে বিশ্বাস করেন, তারা দলে রয়েছেন। বুথে বুথে যারা লড়াইটা করেছেন ও করছেন, তারা কেউ দল ছেড়ে যাননি।

    ভোট পরবর্তী হিংসার সময় বারবার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাই অভিযোগ করেছেন রাজ্য নেতৃত্বকে পাশে পাননি, আপনার প্রতিক্রিয়া?

    যদি সত্যিই এমনটা হয়ে থাকে তাহলে সেই কর্মী-সমর্থকদের জানাতে চাইব দলের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। যদি প্রয়োজনের সময় দলকে পাশে চেয়েও তারা পাননি, এমটা হয়ে থাকে, তাহলে তার জন্যও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের এই আস্থা দিতে চাই, যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে, বা যেটুকুই হয়ে থাকুক সেটা দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হবে।

    সদ্য প্রাক্তন দিলীপ ঘোষ বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন, তাঁকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া?

    আমি বিশ্লেষক নই যে ওভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারব। তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ই ভারতীয় জনতা পার্টি এই রাজ্যে সবথেকে বেশি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। তাই তাঁর ও দলের বাকি নেতাদের পরামর্শ প্রয়োজনে পাথেয় করব। কীভাবে তা নেব, তা ক্রমশ প্রকাশ্য।