টাউন সার্ভিস এবং স্কুল বাস ছাড়া বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে অন্য কোনও বাস চলাচল করতে পারবে না, জানিয়ে দিলো হাইকোর্ট!

নিজস্ব সংবাদদাতা: টাউন সার্ভিস এবং স্কুল বাস ছাড়া বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে অন্য কোনও বাস চলাচল করতে পারবে না। ফলে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করা আরামবাগ, বাঁকুড়া,মেমারি, বড়শুল রুটের বাস এবং এসবিএসটিসির দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। আট বছর আগে কলকাতা গেজেটে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে দূরপাল্লার বাস না চলার বিষয়ে এই নির্দেশিকা জারি করেছিলেন তৎকালীন জেলা শাসক সৌমিত্র মোহন। যানজট ও দূষণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা শুনে সেই নির্দেশিকা বহাল রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ২ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ জারি করেছেন।বিষয়টি কার্যকর করতে খুব তাড়াতাড়ি বাস মালিকদের নিয়ে বৈঠক করবে জেলা প্রশাসন।

    আগে বর্ধমান শহরের মাঝামাঝি জায়গায় তিনকোনিয়ায় বাস স্ট্যান্ড ছিল। যানজটের কারণে ২০১২ সালে সেই বাস স্ট্যান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবর্তে বর্ধমান শহরের বাইরে দুই প্রান্তে আলিশা ও নবাবহাটে দুটি বাস স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই দূরপাল্লার বাস ছাড়া হবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়। তখনই বলা হয়েছিল, বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে শুধু টাউন সার্ভিস বাস চলবে। ২০১৪ সালে ৬ জুন নির্দেশ জারি করে শহরের ভিতর দিয়ে দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করা হয়। সেই নির্দেশের পরও বর্ধমান শহরের একাংশ দিয়ে কিছু দূরপাল্লার বাস চলাচল করছিল। স্বল্প দূরত্বের কিছু বাসও চলছিল।২০১৪ সালের ওই নির্দেশ বাতিলের দাবিতে বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট বাস অ্যাসোসিয়েশন মামলা করে। তাতে আরও ১১ টি সংগঠন যুক্ত হয়েছিল। হাইকোর্টে মোট ২৩ টি মামলা হয়েছিল। গত বছর অক্টোবর মাসে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের নির্দেশ বহাল রাখার পক্ষে রায় দেয়। ডিসেম্বর মাস থেকে সেই রায় কার্যকর করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। এরপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কয়েকজন বাস মালিক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তখন স্থগিতাদেশ পান তাঁরা। এরপর ২০১৪ সালের সেই নির্দেশিকাকেই বহাল রেখে রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।