|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: মোদির অ্যাপ ‘নমো’ বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন চেন্নাইয়ের এক সাংবাদিক। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, একাধিক সরকারি প্রকল্পের নামে টাকা তোলা হচ্ছে নমো অ্যাপের মাধ্যমে। এই বিষয়ে ওই সাংবাদিক তথ্যের অধিকার আইনে আবেদনও করেন। এদিন তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, ‘নমো’ বা কোনও বেসরকারি সংস্থা কিংবা কোনও ব্যক্তি সরকারি প্রকল্পের জন্য অনুদান চাইতে পারে না, এমন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
যদিও অভিযোগ উঠছে, ‘স্বচ্ছ ভারত’, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পে অনুদানের দাবি জানানো হচ্ছে ‘নমো’ অ্যাপে। এক বিজেপি নেতা অবশ্য দাবি করেছেন, অ্যাপটির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পে অর্থ সাহায্য চাওয়া হচ্ছে না। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এই বিষয়ে এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে চেন্নাইয়ের সাংবাদিক বি আর অরবিন্দকশন আরটিআইয়ের উত্তর দিয়েছে মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়নি”। অন্য একটি আবেদনের ভিত্তিতে একই উত্তর দিয়েছে মিনিস্ট্রি অফ ড্রিংকিং ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন। এই মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “কোনও বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি বিশেষকে স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে অনুদান সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া দেয়নি”।
যদিও অভিযোগ, মন্ত্রকগুলির এমন উত্তরের পরেও মোদির অ্যাপের মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। অ্যাপে খুললেই ভেসে উঠছে ‘মাইক্রো-ডোনেশন ফর নিউ ইন্ডিয়া’, ট্যাগলাইনে ‘সাপোর্ট বিজেপি উইথ ইউর মাইক্রো-ডোনেশন’। মোট চার রকম অংকের অর্থদানের অপশন দেওয়া হয়েছে… ৫, ৫০, ১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকা। ‘কজ অফ ডোনেশনে’ উল্লেখ করা হয়েছে দুটি সরকারি প্রকল্পের কথা। যার একটি ‘স্বচ্ছ ভারত’ এবং অন্যটি ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’। পাশাপাশি ‘পার্টি ফান্ড’ ও ‘কিসান সেবা’র জন্যও অর্থদানের অপশান রাখা হয়েছে।
অরবিন্দকশন জানিয়েছেন, “নমো অ্যাপের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে অর্থসাহায্য করি আমি। দল বিজেপি তার জন্য আমাকে রিসিপ্টও পাঠায়”।