কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী জানালেন দ্রুত আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর কথা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: যত দ্রুত সম্ভব আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হবে। কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন বিদেশমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তৃণমূল-সহ দেশের সবকটি সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল, রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা পীযূষ গয়াল। মূলত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উদ্যোগে এই বৈঠক। আফগান পরিস্থিতি সম্বন্ধে সংসদীয় দলগুলোকে অবগত করতে বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই সংসদের সেন্ট্রাল হলে এদিন এই বৈঠক হয়েছে।

    জানা গিয়েছে আফগানিস্তান পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। এমনটাই সর্বদল বৈঠকে জানান বিদেশমন্ত্রী। তালিবান ফেব্রুয়ারি ২০২০-তে করা দোহা চুক্তি ভেঙেছে। এমন অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছে বিদেশ মন্ত্রীর গলায়। সেই চুক্তি মোতাবেক আফগানিস্তানে বসবাকারী সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মতাদর্শ এবং স্বাধীনতাকে সম্মান করবে তালিবান। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে সেই চুক্তির রূপায়ণ, তালিবানের তরফে হয়নি। এমনটাই কেন্দ্র সর্বদলীয় বৈঠকে জানিয়েছে। এই প্রসঙ্গে সংসদীয় দলগুলো কেন্দ্রকে প্রশ্ন করে, ‘আফগান প্রশ্নে ভারতের নীতি কী?’ সেই প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘অন্য সব দেশের মতোই এই বিষয়ে ধীরে চল নীতি নেবে ভারত।‘ এদিকে, ফের প্রকাশ্যে তালিবানি নির্যাতনের ঘটনা। এবার রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের হুমকি-মারধরের অভিযোগ উঠল তালিবানের বিরুদ্ধে। রবিবার এক রাষ্ট্রসংঘের এক কর্মীকে কাবুল এয়ারপোর্টের পথে আটকায় তালিবান। গাড়ি তল্লাশি করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের পরিচয় দিতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

    সোমবার তিন জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আরও এক রাষ্ট্রসংঘের কর্মীর বাড়িতে যায়। তাঁর ছেলেকে বাবা কোথায় জিজ্ঞেস করে। ছেলে মিথ্যা বলছে বলে হুমকি দেয়, আমরা জানি সে কোথায় আছে আর কী কাজ করে। এমন ঘটনা আরও ডজন খানেক হয়েছে গত কয়েক দিনে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নথি হাতে এসেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের কাছে। তাতে নানারকম হুমকি, রাষ্ট্রসংঘের অফিসে লুঠপাট এবং কর্মীদের শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। এমনকী তালিবান ক্ষমতা দখলের অনেক আগে ১০ অগস্ট থেকেই চলছে এসব।

    সম্প্রতি এরকমই অভিজ্ঞতা হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রসংঘের হয়ে কাজ করা এক মহিলা কর্মীর। তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাঁর মতো অনেক মহিলা ভয় পাচ্ছেন। কাজ করার জন্য শাস্তি পেলে সন্তান-পরিবারের কী হবে এই আশঙ্কায় ত্রস্ত তাঁরা।