|
---|
মোহাম্মদ সালমান হেলাল : বিধানসভা ন’বছর ধরে বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত পিছিয়ে দিয়েছেন। রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক হিসেবে তিনি মানুষের জন্য কোন কাজ করেননি। বুধবার নারায়ণপুর রবীন্দ্র সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার ‘চার্জশিট’ প্রকাশ করলেন ১১৫ রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার তত্ত্বাবধায়ক তথা বিধাননগর পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়।ক রোনা প্রকোপ ও আমফান তান্ডবে লন্ডভন্ড বিপর্যস্ত অবস্থার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের পিছিয়ে পড়া কর্মকান্ড প্রকাশ করলেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূলে থেকে সব্যসাচী দত্ত কোন কাজই করেননি। শুধু তাঁর আমলে বেড়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী প্রকোপ। দলের ভাবমূর্তিটাকে তিনি নষ্ট করেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি শুধু কটাক্ষ করেছেন।’যদিও, বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলার পাশাপাশি তাপসের তোপ, “রাজনীতিতে সব্যসাচী দত্তের সৌজন্যবোধ নেই। দেশে যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চলছে তখন তিনি লেকটাউনে গিয়ে রাজনীতি করছেন। রাজারহাট নিউটাউনের মাটি হারিয়ে তিনি এখন অন্য বিধানসভা কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি লকডাউনে যখন মানুষ অভুক্ত, তখন তিনি অভুক্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন না।”অন্যদিকে লেকটাউনে আক্রান্ত হয়ে সব্যসাচী দত্ত বলেছিলেন, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে তাপসের দাবি, বাংলায় গণতন্ত্র আছে বলে মানুষ কথা বলতে পারছেন। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে গণতন্ত্র নেই। সেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। সেহেতু বাংলায় গণতন্ত্র আছে বলে বিরোধীরা সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছেন। তিনি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার উন্নয়নমূলক কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিজেপি শুধু ধর্মের ভিত্তিতে মানুষ ভাগ করে। কিন্তু আমরা পবিত্র ঈদ উপলক্ষ্যে ২০০০ শিশুকে জামা-কাপড় উপহার দিয়েছি। লকডাউনে রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্তে ত্রান পৌঁছে দিয়েছি। বিধাননগর পৌরনিগমের ১ থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তদের স্বয়ং নিজে থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিয়েছি। এবং হাসপাতাল থেকে সেইসব করোনা রোগীদের খোঁজ নিয়েছি।যদিও সবশেষে তাপসের বক্তব্য, এখন সময়টা রাজনীতি করার সময় নয়। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। বিশেষ করে গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আর আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেস সেই প্রচেষ্টায় চালাচ্ছে।