বর্ধমান পৌর উৎসবের উদ্বোধন করলেন কবি সুবোধ সরকার।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ১৭ ডিসেম্বর : মায়ের কথা, মাটির টান, ললিত কলার বর্ধমান এই ভাবনা নিয়ে শুরু হল ২৩ তম বর্ধমান পৌর উৎসব। উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট কবি সুবোধ সরকার। উৎসবের উদ্বোধন করে কবি সুবোধ সরকার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কলকাতার এলিট সোসাইটির একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেলা খেলা নিয়ে অশিক্ষিত মন্তব্য করে থাকেন। এই সমস্ত সমালোচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে রাজ্যের জেলায় জেলায় মেলা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মেলা হল মিলনের অন্যতম মাধ্যম। তিনি জানান, কলকাতা বইমেলা একদা বিশৃঙ্খলা হওয়ায় আমেরিকা থেকে ১২ জন সাহিত্যিককে এনে বর্ধমানের উৎসবে হাজির করিয়েছিলাম। বর্ধমান পৌর উৎসব চারুকলা, ললিত কলার প্রসার ঘটানোর কাজে অনুঘটকের কাজ করছে। এ ব্যাপারে তিনি ভুয়সী প্রশংসা করেন। ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মূল অনুষ্ঠান এর প্রাক্কালে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বর্ধমান শহর পরিক্রমা করে। এই পদযাত্রায় বর্ধমান শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক আধিকারিকসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ এই পদযাত্রায় পা মেলান। অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণ দেন বর্ধমান পৌর উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা, সহ-সভাপতি দেবু টুডু, পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক রাম শঙ্কর মন্ডল, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামানিক, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলার অরূপ দাস, সদর মহকুমা শাসক তথা বর্ধমান পৌর উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, মৌসুমী দাস, বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারপারসন কাকুলি তা গুপ্ত, কাউন্সিলর প্রদীপ রহমান, আব্দুর রব প্রমুখ। পৌর উৎসব চলবে ২৫শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরেশ সরকার জানান, ১৯ ডিসেম্বর সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাবুল সুপ্রিয়। এছাড়াও অতিথি শিল্পীদের তালিকায় আছেন শুভমিতা, সুরজিৎ ও বন্ধুরা, চিরায়ত, বর্ধমানের তারারা, অনন্য চক্রবর্তী, ফকিরা, তন্ময় কর, সৌমিলি বসু, দেবদিয়া চক্রবর্তী, সৌমি মন্ডল, প্রিয়াঙ্কা মজুমদার, শ্রীজাতা হাজরা, রুমা নাথ প্রমুখ। বহিরাগত শিল্পীদের পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পী রাও অনুষ্ঠান করার সুযোগ পাচ্ছেন। সন্ধ্যেকালীন অনুষ্ঠান থাকছে মনোজ্ঞ আলোচনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান।