উত্তরপ্রদেশ: সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী ফের জয়ী হতে পারে বিজেপি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন পুরভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন বছর ঘুরলেই লোকসভার সিটের নিরিখে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশ ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথ। জনতার মন জয় করতে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে একের পর উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ঘোষণা করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি এই উত্তরপ্রদেশেরই বারাণসীর সাংসদ। উল্টোদিকে লোকসভায় মুখ থুবড়ে পড়ার পর, এবার বিধানসভায় বিজেপির থেকে উত্তরপ্রদেশ ছিনিয়ে নিতে ময়দানে নেমে পড়েছেন অখিলেশ যাদব। একের পর এক হারে বিদ্ধ হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশে তলানিতে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে সামনে রেখে লড়াইয়ে নেমেছে।

    প্রচারে নেমে যোগীর মুখে যখন ফের উঠে আসছে সেই ‘কবরিস্তান’ প্রসঙ্গ। তখন অখিলেশের মুখে জিন্না। প্রিয়ঙ্কার হাতিয়ার মহিলাদের হাতে আরও বেশি করে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার স্লোগান। আর প্রথমবার উত্তরপ্রদেশে ভোটে নামার আগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মুখে রাম নাম!

    ভারতীয় রাজনীতিতে বহুল প্রচলিত কথা, উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লির তখ্ত-ও তার। কী হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যের বিধানসভা ভোটে? তার আভাস পেতেই সমীক্ষা চালিয়েছে সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা আসন সবচেয়ে বেশি ৪০৩টি। অর্থ্যাৎ ম্যাজিক ফিগার ২০২। সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে, উত্তরপ্রদেশে ২১৩ থেকে ২২১টি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি। ১৫২ থেকে ১৬০টি আসনে জয়লাভ করে দ্বিতীয় স্থানে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি পেতে পারে ১৬ থেকে ২০টি আসন। কংগ্রেস ৬ থেকে ১০টি এবং অন্যরা ২ থেকে ৬টি আসন পেতে পারে।

    কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে, তারও সমীক্ষা চালিয়েছে সি ভোটার। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে প্রায় ৪১ শতাংশ ভোট। সমাজবাদী পার্টি ৩১ শতাংশ ভোট পেতে পারে। ১৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে বিএসপি। কংগ্রেস ৯ শতাংশ এবং অন্যরা ৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে উত্তরপ্রদেশে।

    সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, গত বিধানসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে যে বিপুল সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন মোদি-যোগী, এবার তা না মিলতেও পারে। আবার কড়া লড়াইয়ের পরও এবার ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হতে পারে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টিকে।

    ৯ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বরের মধ্যে পাঁচ রাজ্যের ১ লক্ষ ৭ হাজারের বেশি ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এই সমীক্ষা করছে সি ভোটার। সমীক্ষায় নেওয়া হয়েছে CATI পদ্ধতির সাহায্য। মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস তিন থেকে পাঁচ শতাংশ।