|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : রতনবাবু ঘাট সংলগ্ন চন্দ্রকুমার রায় লেনে শনিবার রাতে আচমকা ধস নেমেছে। আর একাধিক বাড়িতে ফাটলও ধরেছে। এই ঘটনার জেরে ঘরছাড়া ১০টি পরিবার। তবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুরসভার। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। সেচ দফতরও ১৫০ ফুট গঙ্গাপাড় ঢালাই করে পাঁচিল তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। নামল রতনবাবুর ঘাট এলাকায়, ফাটল একাধিক
কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, প্রথমে প্রায় পাঁচ ফুট ব্যাসার্ধের একটি গর্ত তৈরি হয়েছিল। এখান দিয়ে জল বের হচ্ছিল। ফাটল ধরা রাস্তাও ভেঙে বড় গর্ত করা হয়। তারপর চলে বালির বস্তা দিয়ে গর্ত ভরাটের কাজ। প্রথমে ১০০ বস্তা বালি দিয়েও সম্ভব হয়নি। পরে আরও ১০০ বস্তা বালি দিয়ে গর্ত বোজানো হয়েছে।
রতনবাবু ঘাট সংলগ্ন চন্দ্রকুমার রায় লেনে শনিবার রাতে আচমকা ধস নেমেছে। আর একাধিক বাড়িতে ফাটলও ধরেছে। এই ঘটনার জেরে ঘরছাড়া ১০টি পরিবার। তবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুরসভার। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। সেচ দফতরও ১৫০ ফুট গঙ্গাপাড় ঢালাই করে পাঁচিল তোলার উদ্যোগ নিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে রতনবাবু ঘাট এলাকায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার পাশেই ঘাট সংলগ্ন গঙ্গায় তৈরি হচ্ছে নতুন জেটি। গত দু’মাস আগে জেটির কাজ শুরু হয়। তবে এখন সেই কাজ বন্ধ। বাসিন্দারা ভেবেছিলেন একটা ভালো কাজ হচ্ছে। কিন্তু জেটির কাজ হওয়ার সময় ঘরগুলি কাঁপছিল। তারপর থেকে ঘরের দেওয়ালে ফাটলও ধরতে শুরু করে। এবার মাটি বসে গর্ত হয়েছে।ঠিক কী জানা যাচ্ছে? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই রাস্তার নীচে একটি বড় নিকাশি নালা আছে। সেখান দিয়ে দূষিত জল গঙ্গায় যেত। কলকাতা পুরসভা সেই নালার অভিমুখ বদলে পার্শ্ববর্তী একটি পাম্পিং স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করে। গঙ্গার দূষণ আটকাতে এই কাজ করা হয়। গত সোমবার সেই নালাটি ইট দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরই এই ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুরসভার তরফে।
কী বলছে কলকাতা পুরসভা? কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, প্রথমে প্রায় পাঁচ ফুট ব্যাসার্ধের একটি গর্ত তৈরি হয়েছিল। এখান দিয়ে জল বের হচ্ছিল। ফাটল ধরা রাস্তাও ভেঙে বড় গর্ত করা হয়। তারপর চলে বালির বস্তা দিয়ে গর্ত ভরাটের কাজ। প্রথমে ১০০ বস্তা বালি দিয়েও সম্ভব হয়নি। পরে আরও ১০০ বস্তা বালি দিয়ে গর্ত বোজানো হয়েছে। এখন অনবরত জল দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ১ নম্বর বরো’র চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, ‘কী কারণে এমন ঘটনা ঘটলতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসিন্দারা সুরক্ষিত। ওরাও আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আরও কয়েকটা দিন দেখা হবে। তারপর বাসিন্দাদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা হবে।’