বেহিসাব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসে, বিধ্বংসী এলাকা গুলো পরিদর্শন করে পুনরায় আগের মতো অবস্থায় ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : গত কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের উপর দিয়ে যে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ প্রবাহিত হয়েছে তার ফলে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র পশ্চিম বাংলাতে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সার্বিকভাবে চেষ্টা করে চলেছেন ক্ষয়ক্ষতি বিধ্বস্ত অঞ্চল গুলি পরিদর্শন করে সামগ্রিকভাবে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া।সেই উদ্দেশ্য নিয়ে শুক্রবার উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জে ‘ইয়াস’ নিয়ে রিভিউ বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা ব্যানার্জী, সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়,বনমন্ত্রী শ্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলাশাসক শ্রী সুমিত গুপ্ত সহ প্রশাসনিক আধিকারিকবৃন্দ।

     

    ইয়াস নিয়ে পর্যালোচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামগ্রিকভাবে আধিকারিক বৃন্দ দের কাছ থেকে পুরো ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নেন এবং সাধারণ মানুষের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে কড়া নজর রাখার বার্তা পৌঁছে দেন।

    অন্যদিকে উঃ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীনা মন্ডলের সভাপতিত্বে শুক্রবার দুপুর বেলা জেলা পরিষদ ভবনে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সহকারি সভাধিপতি শ্রীকৃষ্ণগোপাল ব্যানার্জি,বন ও ভুমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জনাব এ কে এম ফারহাদ, স্বাস্থ্যের কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর ঘোষ, জেলা পরিষদের সেক্রেটারি প্রবীর কুমার সরকার, ডিস্ট্রিক্ট ভেটেনারি আধিকারিক ডাঃ দেবজ্যোতি চ্যাটার্জী, সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষ ও আধিকারিক বৃন্দ।’

     

    ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাধারণমানুষ সহ পশুপাখি গাছপালা এবং সম্পত্তি যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারের টান যে কর্মসূচি সফলভাবে রূপায়নের জন্য জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ সাহেব প্রস্তাব রাখেন যে,সামগ্রিকভাবে সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প মারফত যদি ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তাদের ফর্ম ফিলাপ থেকে শুরু করে জমা করার সুবন্দোবস্ত করা হয় তাহলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা উপকৃত হবে বলে আমরা মনে করছি। এবং সরকারি আধিকারিকদের কাছে আহ্বান রাখবো প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যেন সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ তারা পায় তবেই রাজ্য সরকারের মানবিক মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প টি সার্থক হবে। তিনি আরো বলেন বিগত দিনে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে দুয়ারে সরকার,দুয়ারে রেশন,পাড়ায় পাড়ায় সমাধান প্রকল্পগুলি চালু করেছেন তা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক।তাই আজ এইসময় দুয়ারে ত্রাণ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা পাক এটা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। সার্বিক ভাবে বলা যায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের দৃঢ় প্রচেষ্টায় অতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে সাধারণ মানুষেরা মনে করছে।