পাখি মারা বন্দুক হাতে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট তৃণমূল নেতার ছবি ঘিরে বিজেপির তির্যক আক্রমণ

হরিশ্চন্দ্রপুর: সোশ্যাল মিডিয়ায় যুব তৃণমূল নেতার ছবি পোস্ট। তাও আবার হাতে বন্দুক নিয়ে। ছবি সামনে আসতেই শোরগোল গোটা এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে ওই যুব নেতার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এলো? এই নিয়ে সুর চড়িয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ফলে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। যদিও ওই বন্দুক পাখি মারার বন্দুক বলে সাফাই তৃণমূল নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক যুব তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সিরাজ উদ্দিন আলী ওরফে পুকালু খান। তিনিই হাতে বন্দুক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন। মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। চোখে আছে এলাকার সকলে। ফলে শোরগোল পড়ে যায় সমগ্র এলাকা জুড়ে। প্রশ্ন উঠে একজন রাজনৈতিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হয়ে কি ভাবে তিনি এই ধরনের ছবি পোস্ট করলেন। যদিও ওই যুব তৃণমূল নেতা জানান সেটি পাখি মারার বন্দুক। কিন্তু এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। এদিকে সন্ত্রাস করার জন্য তৃণমূল এসব করছে,পঞ্চায়েত ভোটের আগে বন্দুক শেখানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, তাই তৃণমূল নেতা এরকম ছবি ছেড়েছে কটাক্ষ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। যদিও পাল্টা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের দাবি পাখি মারার বন্দুক ছিল, সে শখ বসত ছবি তোলার জন্য ছেড়েছে, নিন্দা করা বিজেপির কাজ। নিজেদের পায়ের নিচে জমি নেই তাই বিজেপি এসব বলছে। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজা।

    যুব নেতা গোলাম সিরাজউদ্দিন আলী বলেন, সেটি পাখি মারার বন্দুক। ফটো তোলার জন্য শখ বসত নিয়ে ছেড়েছি। বিজেপি নিজেই জানেনা কোনটা বন্দুক, কোনটা এ-কে-ফরটিসেভেন আর কোনটা পাখি মারার বন্দুক। বিজেপি শুধু সুযোগ খোঁজে নিন্দা করার। পুলিশ দেখতে চাইলে আমরা দেখিয়ে দিতে পারব।

    উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। রাজ্য-জুড়ে গুন্ডারাজ চালাচ্ছে এরা। পুরভোটে সেই প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বন্দুক শেখানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাই তৃণমূল নেতা এরকম ছবি ছেড়েছে।

    মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান পাল্টা বলেন, পাখি মারার বন্দুক ছিল। সে শখ বসত ছবি তোলার জন্য ছেড়েছে, নিন্দা করা বিজেপির কাজ। নিজেদের পায়ের নিচে জমি নেই তাই বিজেপি এসব বলছে।