আড্ডার ছলে রক্তদান

নিজস্ব সংবাদদাতা:   মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্কের বছরভর রক্তের অভাব দূর করতে ও নিয়মিত রক্তদানের অভ্যাস গড়ে তুলতে “রক্তদানের আড্ডা” নামে এক ধারাবাহিক ও অনাড়ম্বর রক্তদানের কর্মসূচী শুরু হল।আয়োজক শিক্ষক ও সমাজকর্মী মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত। আজ প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হল ব্লাড ব্যাঙ্কেই।বিভিন্ন রকমের বার্তা দিতে শিবিরটিতে ছিল নানান অভিনবত্ব।যেমন শিবিরের প্রথম রক্তদাতা আয়োজক দম্পতি মৃত্যুঞ্জয় ও চন্দনা কে ওনাদের শ্বশুরমশাই যথাক্রমে সঞ্জীব কুমার পইড়া ও রবীন্দ্রনাথ সামন্ত নিজে হাতে ORS-L খাইয়ে শিবির সূচনা করেন। বার্তা দুটি এক নিজের সন্তানকে পিতা মাতারা যাতে রক্তদানে উৎসাহিত করেন এবং বিয়ের পর বৌমা বা জামাতা কে যাতে নিজের সন্তান মনে করেন। আবার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে ও কুসংস্কার দূর করতে প্রত্যেক রক্তদাতাকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা প্রবাদপ্রতিম পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ডঃ সন্তোষ কুমার ঘোড়ই এর লেখা “কুসংস্কার বড়ই ছোঁয়াচে” বইটি ওনার শুভেচ্ছা বার্তা সহ তুলে দেওয়া হয়।

    এছাড়াও ইস্টবেঙ্গল টিমের ক্রিকেট কোচ সুশীল শিকারিয়ার শুভেচ্ছা সহ বিশেষ শংসাপত্র প্রদান করা হয়।আয়োজক বলেন “প্রতিবছর অজস্র ক্যাম্প হলেও মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে সারাবছর জুড়ে সার্বিক ভাবে প্রায় ১৫% রক্তের অভাব থাকে।এর মূল কারন হল থ্যালাসেমিয়া।অথচ মেদিনীপুর শহরের ৫% রক্তদানের উপযুক্ত বাসিন্দারাও যদি নিয়মিত রক্তদান করতেন এই অভাব কোনদিন হতোনা।তাই এই শিবিরটি আসন্ন শিশুদিবস কে সামনে রেখে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের উৎসর্গ করা হল। ” তিনি এও জানান “রক্তদানের আড্ডা” এরূপ নামকরণের কারন যাতে মানুষ আরও বেশীকরে আড্ডার ছলে নিয়মিত ও অনাড়ম্বর রক্তদানে উৎসাহিত হন।
    আজকের শিবিরে অংশগ্রহণ করলেন রক্তদান আন্দোলনের নেতৃত্ব অসীম ধর,জয়ন্ত মুখার্জি, প্রতিমা রানা,জগদীশ মাইতি ,শিক্ষক বিপ্লব আর্য্য, আসেকুল রহমান,চিন্ময় ভূঞ্যা,সন্তু রায়,ইন্দ্রনীল রায়,প্রদীপ মাইতি সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।