ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। কিন্তু দল সবুজ সংকেত দেয়নি।

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) যোগের ৭ দিনের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়েছিল। ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। কিন্তু দল সবুজ সংকেত দেয়নি। ফলে দলে প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছা মনে চেপে শিক্ষকতায় মনোনিবেশ করেন। ভোট মিটতেই সোনালী গুহ, সরলা মুর্মুরা তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছেপ্রকাশ করতেই আবার দলবদলের চেষ্টা শুরু করেছেন বাচ্চু।

    তৃণমূলের (TMC) টিকিটে গত ২০১১ এবং ২০১৬ সালে তপন (Tapan) বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন বাচ্চু হাঁসদা। তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন। কিন্তু একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি। সোনালী গুহ-সহ একাধিক নেতা-নেত্রীর মতোই টিকিট না পেয়ে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সিদ্ধান্ত নেন শিবির বদলের। গত ১০ মার্চ কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) হাত থেকে পতাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু কলকাতা থেকে জেলায় ফিরে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যায়নি তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে তিনি ইঙ্গিত দেন তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে। দলবদলের ৭ দিনের মধ্যেই বিজেপির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দলত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি।  কিন্তু তৃণমূলের তরফে তাকে ইতিবাচক কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।

    ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূলত্যাগী অনেকেই পুনরায় দলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। দলনেত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের দলে ফিরতে মরিয়া প্রাক্তন মন্ত্রী। বিস্ফোরক দাবিও করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, বিজেপিতে যোগ দিয়েও একুশের নির্বাচনে ‘গোপনে’ তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছেন তিনি। এই নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।