বীরভূমের রামপুরহাটে  শিক্ষকের অভাবে বন্ধ অবস্থায় পড়ে গ্রামের স্কুল

নিজস্ব সংবাদদাতা : বীরভূমের রামপুরহাটে  শিক্ষকের অভাবে বন্ধ অবস্থায় পড়ে গ্রামের স্কুল । অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও হয়নি সুরাহা। বাধ্য হয়ে দূরের স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার স্কুল পরিদর্শক।আছে স্কুল। রয়েছে সমস্ত পরিকাঠামো। পড়ুয়াও আছে, কিন্তু নেই কোনও শিক্ষক। দিনের পর দিন স্কুলের দরজায় তাই ঝুলছে তালা। এই ছবি, বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের পোড্ডা জুনিয়র হাইস্কুলের। অভিযোগ, প্রায় ৬ বছর ধরে, শিক্ষকের অভাবে স্কুলে বন্ধ পঠনপাঠন! বাধ্য হয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদের ভর্তি হতে হয়েছে পাশের গ্রামের স্কুলে। বীরভূমের রামপুরহাটের পোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতিপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় আমাদের ছেলেমেয়েদের গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যেতে হয়। বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছিলাম। আমরা চাই স্কুলটি চালু হোক।’স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে রামপুরহাট থানার অন্তগর্ত পোড্ডায় স্থাপিত হয় স্কুলটি। অভিযোগ, স্কুলের প্রথম দিন থেকেই ছিল না কোনও স্থায়ী শিক্ষক। ২ জন অতিথি শিক্ষক ও গ্রামের ৩ জন যুবকদের সহযোগিতায় কোনওক্রমে চলছিল স্কুলের পঠনপাঠন। ২০১৭ সালে ওই ২ অতিথি শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হয় স্কুলটি।ওই গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ সাহা বলেন, ‘আমরা তিনজন গ্রামবাসী বিনা পারিশ্রমিকে স্কুলে পড়াশোনা জন্য পরিশ্রম দিতাম। স্কুলে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যাও আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে অতিথি শিক্ষকদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারা না আসায় স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়।’কিন্তু গ্রামের মধ্যে স্কুল থাকা সত্ত্বেও কেন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না? ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এক বাসিন্দা সতীশ মালের অভিযোগ, ‘দীর্ঘদিন ধরে এভাবে স্কুল পড়ে আছে। বেহাল অবস্থা হয়েছে। বিল্ডিং-জিনিসপত্র পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।’স্কুলটি যাতে দ্রুত চালু হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। কবে ফের চালু হবে স্কুল? চাতকপাখির মতো অপেক্ষায় অভিভাবক থেকে পড়ুয়ারা।