ভোটের শোচনীয় পরাজয়ের পর আবার ধাক্কা গান্ধী পরিবারে, ন‍্যাশ‍্যানাল হেরাল্ডের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পর যখন রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক তখনই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল গান্ধী পরিবার। হরিয়ানার পঞ্চকুলায় ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি পাকাপাকিভাবে বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এদিকে হরিয়ানায় ন্যাশনাল হেরাল্ডকে বেআইনিভাবে জমি দেওয়ার ঘটনায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়ল আদালতে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। তদন্তে নেমে গত বছরের ডিসেম্বরে পঞ্চকুলায় সংস্থার ৬৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেই সম্পত্তিই স্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার তদন্তকারী সংস্থা। আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। ইডি আধিকারিকদের দাবি, ১৯৮২ সালে ‘নব- জীবন’ নামে একটি নতুন খবরের কাগজ চালু করার পরিকল্পনা করেছিল অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড বা এজেএল। এই সংস্থাটি ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মালিক। পঞ্চকুলায় এজেএল-কে জমি দিয়েছিল হরিয়ানা আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা হুডা। কিন্তু শেষপর্যন্ত জমি হস্তান্তরের শর্ত মেনে কাজ করেনি এজেএল। তাই পঞ্চকুলার ওই সম্পত্তি ফিরিয়ে নেয় হুডা। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ২০০৫ সালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফের ওই সম্পত্তি এজেএলকেই হস্তান্তর করেছিলেন হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা।

    এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নেহেরু জমানার ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল হেরাল্ডের ভবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ভবনটি খালি করে দিতে হবে। এমনকী, জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে ভূমি ও সংস্কার দপ্তরের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা করেছিল এজেএল , সেই মামলাটিও খারিজ করে দেয় আদালত।