|
---|
সেখ সামসুদ্দিন : ১৯ জানুয়ারি, মেমারি নতুন বাসস্ট্যান্ডে পুরসভার উদ্যোগে চলছে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টীকাকরণ। সেখানে নেই কোন কোভিড বিধি-নিষেধের মান্যতা ও সামাজিক দূরত্বকে তোয়াক্কা না করেই চলছে টীকাকরণ। সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখেই চটে গেলেন ডাটা এন্ট্রি পদের কর্মী, ধরলেন উগ্রমূর্তি, উদ্ধত হয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিককে হেনস্থায়। যেখানে করোনার গ্রাফ সরকারের কপালে ভাঁজ ফেলছে, করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য কড়া থেকে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার, পিছিয়ে যাচ্ছে পুরনির্বাচন। সেখানে কোভিড বিধিকে না মেনেই চলছে টীকাকরণ। উল্লেখ্য মাস্কহীন ব্যক্তিদের ধর পাকড় করছে পুলিশ, সরকার যখন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সেখানে কোভিড বিধিকে অমান্য করার ছবি তুলতেই সাংবাদিকের উপর চড়াও ডাটা এন্ট্রি পদে কর্মরত এক কর্মী, তার প্রশ্ন আপনি ক্যামেরা করছেন কেন? সাংবাদিক পরিচয় দিয়েই সাংবাদিক ক্যামেরা করছিলেন।রীতিমতো সবাই বুঝতে পারছে সাংবাদিক ক্যামেরা করছে, তারপরেই সাংবাদিকের ক্যামেরা দেখে চটে গেলেন ডাটা এন্ট্রি পদের কর্মী। ছবি তুলতে গেলে নাকি ঐ কর্মীর পারমিশন লাগবে, এবং তাকে কৈফিয়তও দিতে হবে কেন ছবি তুলছে?
সামনাসামনি সাংবাদিক প্রমাণ দেওয়ার পরও গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এক ন্যক্করজনক ঘটনা। তারপর প্রশাসক স্বপন বিষয়ীর বক্তব্য চাইলে তিনি কর্মীর হয়ে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে ভবিষ্যতে আর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান।