নদিয়া জেলায় বুধবার রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : রামপুরহাট কাণ্ডের রেশ বাংলা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। দোষীদের শাস্তি চেয়ে সরব স্বয়ং প্রধনমন্ত্রী। আর এই আবহেই রাজ্যে ফের রাজনৈতিক হামলার ঘটনা। গুলি করা হল এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে। ঘটনাস্থল নদিয়ার হাঁসখালি। জানা যাচ্ছে, বুধবার রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।   গুলি করা হল এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে ঘটনাস্থল নদিয়ার হাঁসখালি

    বুধবার রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা

    রামপুরহাট কাণ্ডের রেশ বাংলা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। দোষীদের শাস্তি চেয়ে সরব স্বয়ং প্রধনমন্ত্রী। আর এই আবহেই রাজ্যে ফের রাজনৈতিক হামলার ঘটনা। গুলি করা হল এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে। ঘটনাস্থল নদিয়ার হাঁসখালি। জানা যাচ্ছে, বুধবার রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,গুলিবিদ্ধ তৃণমূল স্থানীয় নেতার নাম সহদেব মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী অনিমা মন্ডল বগুলা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ।বাড়ি ফেরার পথে হামলা

    জানা যাচ্ছে, বুধবার রাত নটা নাগাদ সহদেব মণ্ডল মুরাগাছা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাকে পেছন থেকে গুলি করে পালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সহদেব মণ্ডলকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে বাগুলা সাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৃষ্ণনগর শক্তি নগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সহদেব মণ্ডল পেশায় একজন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাব , ওই এলাকায় কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই আক্রমণের জন্য দায়ি। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।পঞ্চায়েত সদস্যর গুলিবিদ্ধ স্বামীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হল কলকাতায়

    হাসখালি থানা এলাকার বগুলা দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য অনিমা মন্ডল এর স্বামী সহদেব মন্ডল (৩৫) বুধবার রাতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার মল্লিক বাজারের র একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথমদিকে তার অবস্থা সংকটজনক ছিল। কলকাতায় আসার পথে দুই থেকে তিনবার কালো রক্ত বমি করেছেন, এমনটাই দাবি তার সঙ্গীরা। রাত দুটো নাগাদ তাকে মল্লিক বাজারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসকদের দল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে আনার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় চিকিৎসা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাকে আনার সঙ্গে সঙ্গেই সিটিস্ক্যান এবং এক্সরে করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। তিনি আইসিওতে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ