পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হল বাংলা নববর্ষের বর্ণময় অনুষ্ঠান

লুতুব আলি : পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে অনুষ্ঠিত হল বাংলা নববর্ষের বর্ণময় অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষের স্নিগ্ধ সকালে বর্ধমান শহরে বাংলা নববর্ষ উৎসব কমিটি প্রভাত ফেরী ও বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমানের দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন কবিতীর্থ চুরুলিয়ার উদ্যোগে নববর্ষের প্রাক্কালে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষকে ছিনতাই করে ছিল অতি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কণা করোনা। করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় আবার ফিরেছে বাঙালির ষোল আনা বাঙালিয়ানা। বর্ধমানের অনুষ্ঠানে এদিন স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা নববর্ষ উৎসব কমিটির পক্ষে কানাইলাল বিশ্বাস। শুক্রবার সকালে বাবুরবাগ সি, এম, এস হাই স্কুলের কাছ থেকে বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরী বর্ধমান শহর পরিক্রমা করে। অনুষ্ঠানের সূচনা লগ্নে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কবি জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ থেকে বিশেষভাবে বর্ধমানের এই অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে অভিজিত দাসগুপ্ত স্বরচিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও সংগীতে অংশ নেন, মুক্তা রায়, তনুশ্রী আচার্য, সবিতা চ্যাটার্জী প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন সৈয়দ মুশাররফ আজম, অরবিন্দ সরকার, শিখা সরকার, অরুণ শিকদার, বিউটি সান্যাল, নার্গিস বেগম, সুমনা বসু, শেখ জাহাঙ্গীর, নূর মোহাম্মদ, অংশু হালদার, পিয়ালী হালদার, আয়েত্রী মন্ডল, দেবদীপ দত্ত, সায়ন কংস বণিক প্রমুখ। বাংলা নববর্ষ সম্পর্কে মননশীল আলোচনায় অংশ নেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রমাপতি হাজিরা, সুমনা বসু, শেখ সামসুল আলম। শ্রুতি নাটক পরিবেশন করেন অভিজিত দাসগুপ্ত ও সায়ন্তি হাজিরা। অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনায় ব্রতী ছিলেন শ্যামা প্রসাদ চৌধুরী, সন্তোষ সোম, তন ত্রয় দাস, অর্পিতা বিশ্বাস, অঙ্কিতা বিশ্বাস, অহন মন্ডল, সঞ্জীব মন্ডল, সুপ্রকাশ চৌধুরী, নাসিম, সৌম্য পাল, গৌরী শংকর দাস। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরীর ৬৪ তম জন্ম দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সায়ন্তি হাজরা ও শেখ জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন নববর্ষের প্রাক্কালে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান করে। কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি সোনালী কাজী বাংলা নববর্ষের ইতিবৃত্ত আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। সংগীতানুষ্ঠানে সোনালী কাজী সংগীত পরিবেশন করে দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করেন। অন্যান্যদের মধ্যে সংগীতে অংশ নেন তমশ্রী চ্যাটার্জী। নৃত্য পরিবেশন করেন শুভশ্রী মিশ্র। সুতপা চৌধুরী, সোমা বিশ্বাস, সুলেখা রুইদাস, কাকলি দেবনাথ কবি মিতালি পাল ও মিতা চ্যাটার্জী কবিতা আবৃত্তি করেন।