শ্রীঘ্রই সংখ্যালঘু তকমা আটতে চলেছে বাঙালির গায়ে

নবাব মল্লিক : নিজভূমে পরবাসি বাঙালিকে খুব সুপরিকল্পিত ভাবে তাদের নিজস্ব স্বত্বা থেকে ভুলিয়ে রেখেছে কিছু তথাকথিত এলিট শ্রেণীর মানুষ। বিষয়টা এমন পর্যায়ে দাড়িয়েছে খোদ কলকাতার বুকে তাদেরকে ধমক খেয়ে শুনতে হচ্ছে “এ হিন্দি মে বোল”। চিন্তার বিষয় উত্তর কোলকাতা এখন হিন্দি বলয়ের মধ্যে। বাদ যাচ্ছে না মধ‍্য কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতাও। সবচেয়ে বড় যে চিন্তার বিষয় তা হল চাকরি না পাওয়া বেকার যুবকরা যখন সল্টলেক, রাজারহাটে বিভিন্ন আইটি সেক্টরের কাজে যাচ্ছে তখন বাংলা বললে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের স‍্যালারি ৪৫০০ -৭০০০ টাকার মধ‍্যে বেধে দেওয়া হচ্ছে। আর হিন্দি বললে তাদের স‍্যালারি দেওয়া হচ্ছে ৯০০০-১২০০০ টাকা। এই বেতন বৈষম্যের জন‍্যই বাঙালি ছেলারা হয় আশাহত হয়ে ফিরে আসছে। না হয় জোরজবদস্তি হিন্দি শিখে হিন্দি ভাষীদের দেখাতে গিয়ে বাংলাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌছেছৈ উত্তর কলকাতার বিভিন্ন কাউন্সিলর থেকে সাংসদ যখন নিজের এলাকায় যায় ভুলেও বাংলা বলেনা জনসংযোগ হারানের ভয়ে।

    গোটা রাজ‍্য জুড়ে ক্ষমতা দখলের জন‍্য সুপরিকল্পিত ভাবে হিন্দিভাষী ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। হিন্দিভাষী এলাকায় কোনো বাঙালিকে প্রার্থী করতে দেয়না তারা সবস্তরের নির্বাচনে। দশম বর্ষীয় জনগণনা অনুসারে ২০০১-২০১১ তাদের বৃদ্ধি হয়েছে ১৫৪শতাংশ। যা ৫৮ লক্ষ্য থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৫ কোটি। নিসন্দেহে যা অনুপ্রবেশের থেকেও বাঙালির কাছে বড় সমস‍্যা। বাংলায় এসে খুব সহজে তারা একের পর এক এলাকা দখল করছে আর একের পর এক দাত, নখ বের করে তেড়ে আসছে বাঙালির দিকে। পরিস্থিতি চিত্রপট খুব একটা পরিবর্তন না হলে ২০১১ এর ১.৫ কোটি বর্তমানে তা ৩ কোটি টপকে গিয়েছে তা চোখ বুজিয়ে বলাই যায়। এরকম ব‍্যাস্তানুপাতিক হারে ব‍্যাঙের ছাতার মত বাড়তে থাকলে সেদিন আর বেশি দূরে নেই যেদিন পশ্চিমবঙ্গের মূখ‍্যমন্ত্রীর গদি ভোগ করবে সিং, দুবে, চৌবেরা।