|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: একদিকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ নবী। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চলেছিলেন রশিদ খানও। তবে যুজবেন্দ্র চাহালের একটি গুগলির লাইন মিস করিায় বল চলে যায় মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বস্ত হাতে। একটু এগিয়ে যাওয়া রশিদকে স্ট্যাম্পিং করতে ভুল করেননি ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক।
সঙ্গীর আসা যাওয়ায় চাপে পড়া আফগানিস্তানের রান-বলের ব্যবধান ঘোঁচাতে সিঙ্গলের সঙ্গে মাঝে মাঝেই খেলছিলেন বড় শট। তেমনই এক শটের লোভে মোহাম্মদ শামিকে উড়িয়ে মারেন নবী। লং অনের সীমানায় ধরা পড়েন দলের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান (৫২)।
এর পর আরো ভয়ঙ্কর হয়ে আবির্ভুত হলেন এই পেসার। পরের দুই বলে আফতাব আলম ও মুজিব উর রহমানকে তুলে নিয়ে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকে ভারতকে জেতালেন রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ।
২২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২১৩ রানেই থামে লড়াকু আফগানিস্তান। খুব কাছে গিয়েও যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটির হার ১১ রানের।
ভারতের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপের দশম। প্রথমটি ৩২ বছর আগে চেতন শর্মার। দেশের মাটিতে সেবার তার কল্যানেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় ভারতের। যা ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসেই প্রথম হ্যাটট্রিকের ঘটনা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ২২৪/৮ (রাহুল ৩০, রোহিত ১, কোহলি ৬৭, শঙ্কর ২৯, ধোনি ২৮, কেদার ৫২, পান্ডিয়া ৭, সামি ১, কুলদীপ ১*, বুমরাহ ১*; মুজিব ১০-০-২৬-১, আফতাব ৭-১-৫৪-১, গুলবাদিন ৯-০-৫১-২, নবি ৯-০-৩৩-২, রশিদ ১০-০-৩৮-১, রহমত ৫-০-২২-১)।
আফগানিস্তান: ৪৯.৫ ওভারে ২১৩ (জাজাই ১০, নাইব ২৭, রহমত ৩৬, শাহিদি ২১, আফগান ৮, নবি ৫২, নাজিবউল্লাহ ২১, রশিদ ১৪, ইকরাম ৭*, আফতাব ০, মুজিব ০; শামি ৯.৫-১-৪০-৪, বুমরাহ ১০-১-৩৯-২, চেহেল ১০-০-৩৬-২, পান্ডিয়া ১০-১-৫১-২, কুলদীপ ১০-০-৩৯-০)।
ফল: ভারত ১১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ জাসপ্রিত ভোমরা