হরিশ্চন্দ্রপুরে সাঁওতালি ভাষা বিজয় দিবস পালিত হলো সাঁওতালি ভাষা বলে

মহম্মদ নাজিম আক্তার, নতুন গতি, মালদাহ: আজ ২২শে ডিসেম্বর সাঁওতালি ভাষা বিজয় দিবস। এই ভাষা বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক স্মরণীয় দিন হিসেবে সারাদেশে পালন করছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাবের মাধ্যমে আজকের এই দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে স্মরণ করে রাখছে ইতিহাসের পাতায়। সারা দেশ জুড়ে নানান অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবছর সাঁওতাল জনগোষ্ঠী মানুষরা এই দিনটিকে পালন করে আসছে।

    প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নং ব্লকের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমেদপুর এলাকার তাল গ্রাম হাট ময়দানে পালিত হলো সাঁওতালি ভাষা দিবস।

    এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা তৃণমূল নেতা বুলবুল খান ও আশরাফুল হক সহ শিব নাথ সরেন,ঢেরা মুর্মু, আনাপা হেমব্রম,কানু মুর্মু সহ আদিবাসী সমাজের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষ।

     

    বুলবুল খান জানান,২০০৩ সালের আজকের দিনে ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলে এই সাঁওতালি ভাষা অন্তর্ভুক্ত হয়। তৎকালীন সাংসদ সালখান মুর্মুর তত্ত্বাবধানে এই সাঁওতালি ভাষা সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত হয়। আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সাংসদের মধ্যে তিনি প্রথম সাঁওতালি ভাষাতে সংবিধান এ কথা বলেছিলেন। আজ আদিবাসী সাঁওতাল সমাজে পার্সি জিৎকারিয়া সালখান মূর্মু নামেও তাঁকে অভিভূত করা হয়। সংবিধানের অষ্টম তফসিলে সাঁওতালি ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করলেও ভারত সরকার সাঁওতালি ভাষায় সঠিক শিক্ষার পরিকাঠামো এখনো গড়ে উঠতে পারেননি।

    এই দিন বিভিন্ন রকম আদিবাসী নৃত্যের পাশাপাশি কমিটি আয়োজন করেছিলেন বিভিন্ন রকম খেলাধুলার। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের আদিবাসী সমাজের কাছে এই ভাষা দিবসের দিনটি একটা অন্যতম দিন হিসেবে পালিত হল।