বাড়ির ছাদে ফুল ও ফলের সমাহারে আস্ত একটি পার্ক তৈরি করল মোথাবাড়ির সেন্টু খান

নতুন গতি, মোথাবাড়ি : গ্রীষ্মের দাবদাহে সবাই যখন অতিষ্ঠ তখন নিজের বাড়ির ছাদে শতাধিক গাছ লাগিয়ে সেই সমস্যা থেকে রেহাই পেয়েছে কালিয়াচক-২  ব্লকের বাঙ্গীটোলা সেন্টু খান।  এই বিশ্বে প্রদাহ এর মধ্যে সেন্টুর বাড়ি ঢুকলে পাওয়া যায় একরাশ অক্সিজেন ও এসির শীতল হাওয়ার স্বাদ।

    নিজের বাড়ির ছাদে  ফুল ও ফলের সমাহারে আস্ত একটি পার্ক তৈরি করে ফেলেছেন বাঙ্গীটোলা এলাকার কাশিমবাজারের সেন্টু খান।

    গ্রীষ্মের বিভিন্ন বিভিন্ন মরসুমি  ফুল ফলের চাষ গোটা বাড়ির ছাদকে ঢেকে ফেলেছে ।  নিজ বাড়ির ছাদেই গড়ে তুলেছে আস্ত ফুল ও ফলের  বাগান।  বাঙ্গীটোলার কাশিম বাজারের সন্তু খানের বাড়ি জানো আস্ত একটা পার্ক। শুধু ফুল নয় ফুল ফল ও সবজি চাষে নিজের বাড়ির ছাদে অভাবনীয় সাফল্য সেন্টু খানের।

    বাঙ্গীটোলার কাশিমবাজারের বাড়ি এই সেন্টু খানের। ছোট্ট থেকেই ফুল ফল ও বিভিন্ন গাছ লাগানোর নেশা সেন্টুর।
    বাবা ছিল রেলের কর্মী ছোটবেলা বাজারের টাকা বাঁচিয়ে ফুলের গাছ নিয়ে গিয়ে বাড়িতে লাগাতো। সেন্টু ছাদের বাগানে বর্তমানে শতাধিক ফল ও ফুল রয়েছে। আপেল কমলা মাল্টা চেরি জামরুল কুল নাশপাতি সাপাটু আতা থেকে বিভিন্ন ধরনের ফল দেখা যায় তার ছাদে। গ্রীষ্মের বিভিন্ন পাতাবাহারী ফল ফুল থেকে বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি ফুল ও শোভা পাচ্ছে সেন্টুর বাড়ির ছাদে।  আর ফলের বাগান দেখতে ও গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে বাঁচতে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোক ছুটে আসছে সেন্টুর বাড়ি।  ফুল ও গাছ পাগল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য হয়ে উৎসাহ পায় সেন্টু।  আর এই গ্রুপে রয়েছে জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন ফুলপ্রেমী মানুষ। সেই গ্রুপে ফুলের ছবি পোস্ট হওয়ায় সেন্টু মোটামুটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন ।

    কার্যত পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে পৃথিবী ক্রমশ তার সুন্দরময়তা হারিয়ে ফেলছে।  ক্রমশই উষ্ণ হচ্ছে এই পৃথিবী। পৃথিবীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি গোটা পৃথিবীতে সবুজময় করে উষ্ণায়ন থেকে বাঁচার বার্তা নিয়ে নিজের বাড়ির ছাদে শতাধিক ফুল ও ফলের সমাহারে আস্ত একটি পার্ক তৈরি করে ফেলেছেন বাঙ্গীটোলার এলাকার কাশিমবাজারের সেন্টু খান।

    সেন্টু খান জানান, ” ছোটবেলা থেকে আমার ফুল ও ফলের গাছ লাগানোর সখ। এ বছর সবচেয়ে বেশি গাছ লাগিয়েছি। আমার বাড়ির ছাদে শতাধিক রকমের ফল ও ফুল রয়েছে। রয়েছে বহু দুষ্প্রাপ্য ফুল ও ফলের গাছ।  এই গরমে সবাই যখন হাঁসফাঁস করছে তখন আমার বাড়িতে এসির প্রয়োজন হয় না।  গোটা বাড়িটা গাছ লাগানোর জন্য আমার বাড়ির সব সময় ঠান্ডা থাকে।  আমি চাই প্রত্যেক মানুষ যেন নিজের বাড়ির ছাদে গাছ লাগায়।  এর ফলে পরিবেশের উষ্ণায়ন যেমন কমবে। এমনি বিদ্যুৎ খরচ কমে যাবে।”