|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও নিন্মচাপের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়াতে সকলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল পুজো নিয়ে। কিন্তু গত ৪ দিন ধরে আকাশে ঝকমকে সূর্যের তাপ আর আকাশে কাশ ফুলের ন্যায় খন্ড খন্ড পেজা তুলোর মতন মেঘ এই আশ্বিন দুয়ারে সকলের মনে বাড়তি অক্সিজেন জোগালো তা যেন বলাই বাহুল্য। এদিকে গতকালই নানান জায়গায় পূজা মন্ডপ গুলোতে দুর্গা দেবীর বোধন হয়েছে।
আজ সারা রাজ্যের সাথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০২২ এর শারদীয়া দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনের এই উৎসব শেষ হবে ৬ ই অক্টোবর। কথিত হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারাদেশ এখন আনন্দমুখর। আর এই বোধন এর মাধ্যমেই দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা করা হয়। মন্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য, পুরাণমতে রাজা সুরথ নাকি প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে এই পূজার আয়োজন করায় দেবীর এই পূজাকে বাসন্তী পূজাও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকাযাত্রার আগে শ্রীরামচন্দ্রও দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন, শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। শরৎকালে দেবীর পূজাকে এজন্যই পুরাণমতে অকালবোধনও বলা হয়ে থাকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিগ বাজেটের দুর্গা পুজোর তালিকার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ হিলি সীমান্তের পুজা হয় সীমান্ত শিখা ক্লাবের।
আবার জেলার সদর শহর অন্তর্গত বালুরঘাটের অভিযাত্রী, নেতাজী স্পোর্টিং, সংকেত ইত্যাদি ক্লাব সহ জেলার গঙ্গারামপুরের ইয়ুথ ক্লাব, নাট্য সংসদ ক্লাব, চিত্তরঞ্জন ও ফুটবল মাঠের পুজো এই আগত ৪ দিন ধরে দর্শকদের নজর যে কাড়বে তা বলাই বাহুল্য। তবে পুজোর সময় কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনাকে এড়াতে জেলা জুড়ে জায়গায় জায়গায় প্রচুর পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন ক্লাব কর্তৃপক্ষদের দাবী সপ্তমী থেকেই দর্শনার্থীদের পুজো মন্ডপে ঢল নামবেই। তাই এটা বলাই বাহুল্য যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পূজা কমিটির মন্ডপসহ বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপে দুর্গোৎসবের পাশাপাশি ফের বাড়তে থাকা করোনা সচেতনতা বিধি নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।