|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : বিয়ের মাত্র দশ দিনের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করল নববধূ।নিজের বাবার বাড়িতেই রান্নাঘরে আজ সকাল ছ’টায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়।বাবার বাড়িতে স্বামীর সাথেই ছিল সেই নববধূ।গতকাল রাতেও তারা একসাথে ঘুমোতে যায়।তারপর কি এমন হল যে আত্মঘাতী হতে হল ওই নববধূকে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।সকাল বেলা থেকে শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের আর দেখা পাওয়া যায়নি।ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বরুই এলাকার নন্দীবাটি গ্রামে।
উল্লেখ্য ,নন্দিবাটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা বদিরুদ্দিনের মেয়ে মেহেজাবি খাতুনের মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ডাঙি গ্রামের বাসিন্দা শেখ মিন্টুর সাথে।গতকাল স্বামীকে নিয়ে মেহেজাবি তার বাপের বাড়িতেই ছিল।রাতে তারা একসাথে ঘুমোতেও যায়।আজ সকাল ৬ টা নাগাদ রান্নাঘরে মেহেজাবির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।যদিও পরিবার সূত্রে জানা গেছে গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও তার পা মাটির সাথে লেগেছিল।ঘটনার পর থেকে পলাতক মেহেজাবির বর শেখ মিন্টু।সমগ্র ঘটনাটি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেহেজাবির পিতা বদিরুদ্দিন।
বদিরুদ্দিন বলেন,”কাল রাতে আমার সামনেই একসাথে ঘুমাতে গিয়েছিল ওরা।আজ সকালে আমার ছোট মেয়ে দেখে ঘর ফাঁকা।তারপর রান্নাঘরে মেহেজাবিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে।জামাইকে আর পাওয়া যায়নি।মাত্র ১০ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল, জানিনা ওদের মধ্যে কি সমস্যা হয়েছিল।পুলিশ তদন্ত করে দেখুক এর পিছনে কি কারণ রয়েছে।ওর স্বামী দোষী হলে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মেহেজাবির দাদা জসিমুদ্দিন বলেন,’সকালে শুনতে পাই আমার বোন ফাঁসি নিয়েছে।রান্নাঘরে গিয়ে দেখি ওর গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো রয়েছে কিন্তু পা মাটিতে ঠেকে।আমরা সাথে সাথে পুলিশকে খবর দি, পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।সবে দশদিন হল বিয়ে হল।তাই বুঝতে পারছি না ঘটনা কি ঘটেছে।ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হোক।”বা
এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছিল মেহজাবি।বৈবাহিক জীবন তার সুখের হলো না।মাত্র ১০ দিনের মধ্যে আত্মঘাতী হতে হলে তাকে।কিন্তু সকলের মানে এক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিয়ের ঠিক দশ দিনের মাথায় কি কারনে আত্মঘাতী হতে হলো মেহেজাবি কে?ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।সমগ্র ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।