|
---|
আগামী ১৪ ডিসেম্বর সারা ভারত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার ডাক কৃষক আন্দোলন থেকে
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কৃষি আইনের পাঁচ দফা সংশোধনী না-পসন্দ কৃষকদের। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ১২ তারিখ দিল্লি-জয়পুর ও দিল্লি-আগ্রা অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ তারিখ দেশের সর্বত্র কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবে কৃষক সংগঠনগুলি।
মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সারপ্রাইজ বৈঠকেই কৃষকরা বুঝতে পেরে যান, সরকার আদৌ প্রত্যাহার করতে রাজি না কৃষি আইন। তাসত্ত্বেও সরকারের কথামতো অপেক্ষা করেছিলেন লিখিত প্রস্তাবের। অবশেষে কৃষকদের হাতে পৌঁছে পাঁচ দফা লিখিত প্রস্তাব। কী বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে? প্রস্তাবে লেখা হয়েছে, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ব্যবস্থা করবে সরকার। কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে তাদের চাষের জমি কিনতে পারবেনা কোন ও শিল্পগোষ্ঠী। দরকার পড়লে কৃষকরা বিবাদ মীমাংসার জন্য আদালতে যেতে পারেন। ইলেকট্রিসিটি সংশোধনী বিল ও নারা পোড়ানোর আইন বাতিল করার প্রস্তাব দেয় সরকার।
প্রস্তাব হাতে পাওয়ার পরই আলোচনায় বসেন কৃষকরা। তারপরই তারা প্রত্যাখ্যান করেন সরকারের ওই প্রতিশ্রুতি। কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, “আগের ছটি বৈঠকেও এই একই কথা বলেছে সরকার। এরমধ্যে নতুনত্ব কিছুই নেই। আইন প্রত্যাহার না করে, তাতে কসমেটিক পরিবর্তন ঘটানোর কথা বলা হচ্ছে। আমাদের দাবি ছিল তিনটি আইন বাতিল করতে হবে। এখনো সেই দাবিতেই আমরা অনড়।”
পাশাপাশি হান্নানের হুঁশিয়ারি, এখন থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষক জমায়েত হবে দিল্লিতে। দিল্লির পাশাপাশি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে কৃষক আন্দোলন কে।” ইতিমধ্যেই ৪০টিরও বেশি সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনের তরফ এ ১২ ডিসেম্বর দিল্লি-জয়পুর ও দিল্লি -আগ্রা হাইবে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ তারিখ দেশের সর্বত্র কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।