শ্বশুরবাড়ি এলাকায় জামায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বরুই জিপির সাতরাই গ্রামে শ্বশুরবাড়ির অদূরে নিজের বাড়ি থেকে জামাইয়ের পচাগোলা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ হাবুল আলি(৩৫) নামে ওই ব্যক্তির দেহ রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের ভিঙ্গল জিপির মিসকিনপুর গ্রামে। মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের বাবা আবদুল মালেক জানান, তার ছেলেকে খুন করে ঝুুুুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃৃৃত হাবুলের স্ত্রী সাঞ্জেদা বিবি এদিনই বাপের বাড়ি থেকে ফিরে এসে দেখেন তার বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা ঝোলানো। পাশাপাশি, বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পাড়াপড়শিরা এসে দরজা ভেঙে হাবুলের ঝলন্ত দেহ দেখতে পায়। পুুুুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহ উদ্ধার করে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস জানান, মৃতের স্ত্রী সাঞ্জেদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতিও মিলেছে। এটা খুন না আত্মহত্যা, তা তদন্তে বোঝা যাবে।

    গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে হাবুল আলি সাতরাই গ্রামে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হয়ে থাকত। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কিছুদিন পরে শশুরবাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাসীর বাড়ির কাছাকাছি এক জায়গায় নিজের বাড়ি করে বসবাস করছিল হাবুল। এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ তার রান্নাঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন ও পরিবারের লোকেরা ধোঁয়াসার মধ্যে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দেহটি দুই-তিন দিন আগে থেকেই রান্না ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ঝুলন্ত দেহের পায়ের নিচে গ্যাস সিলিন্ডার ও প্লাস্টিকের বালতি পরে রয়েছে। দেহটি পচে গিয়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।