|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বিজয় চাঁদ রোড এবং গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডের পাশেই অবস্থিত বিজয় তোরণ বর্তমানের কার্জন গেট। এটি ১৯০২ থেকে ১৯০৩ সালে মহারাজা বিজয়চাঁদ মহাতাব নির্মাণ করেছিলেন। বর্ধমান রাজবাড়ি থেকে প্রায় এক থেকে দু কিলোমিটার দুরেই এই বিজয় তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল। কাঠামোটি ইতালির রাজধানীর নির্মিত একটি গেটের দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে এই বিজয় তোরণ করা হয়। স্বাধীনতার পর, গেটটি বিজয় তোরণ নামে পরিচিত ছিল, তবে এটি এখনও কার্জন গেট হিসাবে জনপ্রিয়। আর এই কার্জন গেট নিয়ে এবার নয়া চিন্তা ভাবনা করল বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। ১১৮ বছর পর মহারাজা বিজয় চাঁদ ও মহারানী রাধারাণী দেবীর মূর্তি বসতে চলেছে খোদ বর্তমান কার্জন গেট তথা বিজয় তোরণের দুদিকে। চলতি মাসের ২০ তারিখে রাজা ও রানীর মূর্তি বসানো হবে কার্জন গেটের দুদিকে। এই রাজা রাণীর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বর্ধমানে আসছেন বর্ধমান রাজ পরিবারের বর্তমান সদস্যরাও।ঐতিহাসিক বর্ধমান শহরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতেই একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী কার্জন গেটের ৩০০ফুটের মধ্যে দৃশ্য দূষণকারী সমস্ত বিজ্ঞাপনের বোর্ড, হোর্ডিং, ফ্লেক্স খুলে ফেলা হয়েছে। কার্জন গেটে রঙিন আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।আর এবার এই কার্জন গেটের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজা তাঁর স্ত্রীর পূর্ণাবয়ব দুটি মূর্তি বসানোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুটি মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মূর্তি দুটি বিজয় তোরণের দুদিকের রেলিংয়ের মধ্যে বসানো হবে। জানা গিয়েছে, রাজা, রাণীর ছবির আদলে মাটির মূর্তি তৈরির কাজ চলছে।এই ছাঁচের উপর পরে স্টোন ডাস্ট, রেজিন আঠা, ফাইবার ইত্যাদির মিশ্রণ দিয়ে পূর্ণাবয়ব মূর্তির রূপ দেওয়া হবে। মহারাজা বিজয়চাঁদ এর মূর্তির উচ্চতা হচ্ছে সারে ছ’ফুট। অন্যদিকে মহারানী রাধারাণী দেবীর মূর্তির উচ্চতা হবে প্রায় ছয় ফুট তিন ইঞ্চি। মূর্তি তৈরির সম্পূর্ন হলে বিধায়কের সম্মতিতে ফিনিশিং টাচ দেওয়া হবে।